Dolphin – ডলফিনের নাম শুনলে আমাদের চোখের সামনে এক প্রাণোচ্ছল প্রাণীর ছবি ভেসে ওঠে। সারাক্ষণ জলে দাপাদাপি করে সাঁতরে বেড়াতেই দেখা যায় ডলফিনকে। সমুদ্রতটে মাঝে মধ্যেই ডলফিনের (Dolphin) দেখা মিলে। পর্যটকেরা হঠাৎ যদি বৃহৎ আকৃতির জীবন্ত ডলফিনটি দেখতে পান, তাহলে তারা উৎফুল্ল হয়ে পড়েন। হাতের নাগালে বৃহদাকার ডলফিন দেখতে পেলে পর্যটকেরা কি থেকে কি করবে বুঝে উঠতে পারেন না। কেউ কেউ ডলফিনের সাথে সেলফি তোলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন।
সমুদ্রে যেমন জীবন্ত ডলফিনের দেখা মিলে, তেমনি মৃত ডলফিনও ভেসে আসতে দেখা যায়। আবার কখনও মৎসজীবিদের জালেও ডলফিন ধরা পড়ে। কিন্তু মৎসজীবিদের জালে Dolphin ধরা পড়লেও তা ছেড়ে দিতে হয়। কারন সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু বেশি লাভের আশায় মৎস্যজীবীদের একাংশ সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির মাছ ধরে তা চুপিসারে বিক্রিও করে আইন বিরুদ্ধ কাজ করেন।
ডলফিন (Dolphin) শিকার করলে কি হতে পারে?
আর এবার যমুনা নদী থেকে ডলফিন (Dolphin) ধরে রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চার জেলের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগর জেলার নাসিরপুর গ্রামের ঘটনা। ডলফিন (Dolphin) ধরার অভিযোগে ফরেস্ট রেঞ্জার অফিসার রবীন্দ্র এই চার জেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন রঞ্জিত কুমার, সঞ্জয়, দিবান এবং বাবা। অভিযুক্ত রঞ্জিতকে পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছেন, আর বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন – WB Hawkers Scheme – পুজোর আগে মানুষের মুখে হাসি ফোটাল সরকার,পকেটে ঢুকবে ৮০ হাজার টাকা
গত ২২ জুলাই সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে নাসিরপুর গ্রামের এই চার জেলে যমুনা নদীতেই মাছ ধরতে জাল ফেলেছিলেন। কিন্তু জেলেদের জালে মাছের বদলে ডলফিন (Dolphin) উঠে আসে। জেলেরা সেই ডলফিনটি কাঁধে তুলে বাড়ি নিয়ে সেটিকে রান্না করে খান। জেলেরা যখন নদী থেকে ডলফিনটিকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন এক পথচারী এই পুরো ঘটনার ভিডিও করেন। পথচারী সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বন দফতরের নজরে আসে। এরপরেই ফরেস্ট রেঞ্জার অফিসার রবীন্দ্র ওই চার মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতে Dolphin শিকার নিষিদ্ধ। ডলফিন শিকার নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও জেলেরা Dolphin ধরেছেন, তাই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী কেউ এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং ২৫ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে। নিষিদ্ধ প্রজাতির মাছ ধরা বন্ধ করতে বনবিভাগ সদা তৎপর থাকেন।