ঘটে গেলো ভয়ানক দূর্ঘটনা, রেল ইন্জিনের ধাক্কায় প্রান চলে গেলো দুই গ্রামবাসীর

উত্তর দিনাজপুরঃ ঘটে গেলো ভয়ানক দূর্ঘটনা। রেল ইন্জিনের ধাক্কায় প্রান চলে গেলো দুই গ্রামবাসীর। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ জেলার রাধিকাপুর গ্রামের টাঙ্গন নদীর সেতুতে এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে।মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে।মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে রেল পুলিশ। মৃতরা হলেন ৫৭ বছরের ভগলু রায় ও ২৭ বছরের জগদীশচন্দ্র রায়। দুজনেই ঘটনাস্থলের পাশের গ্রাম রামগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে বুধবার রাত আটটা নাগাদ রাধিকাপুর থেকে কাটিহারের দিকে যাচ্ছিল ঐ ট্রেনটি।আর সেই সময় টাঙ্গন নদীর সেতু ধরে ফিরছিলেন রামগঞ্জের চারজন বাসিন্দা। ট্রেনের ইঞ্জিন সামনে চলে আসার পর দুজন টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতে পারলেও দুজন সেই সুযোগ না পাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার মানুষজন।খবর পেয়ে ছুটে যান রাধিকাপুর রেল পুলিশের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন,এই রেলসেতুর পাশে অবস্থিত রাধিকাপুর পর্যটন কেন্দ্র।সেখানেই একদল মানুষ ডিজে বাজিয়ে পিকনিক করছিলো। একদিকে ডিজের আওয়াজ আর অন্যদিকে কুয়াশা যার কারণে ঢাকা পরে যায় রেলের হুইসেলের আওয়াজ।আর তাতেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলেই মনে করছেন গ্রামবাসী।
এলাকার তৃনমূল নেতা মহাম্মদ ওয়াহব আলী বলেন,”টাঙ্গন নদীর এপারে রামগঞ্জ ও ওপারে রাধিকাপুর।”মমতা বন্দোপাধ্যায় মূখ্যমন্ত্রী হবার পর সেতু হয়েছে।আর তারপর থেকেই গ্রামের মানুষ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে। ঘটনার দিন রাধিকাপুর বাজার থেকে রামগঞ্জের বেশ কয়েকজন বাড়ি ফিরছিলেন। সেতুর উপরে থাকাকালীন সামনে ট্রেন এসে পরে।আর তাতেই তাদের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।”