Bima Sakhi Yojana – রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার আর নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্পে মহিলারা হবেন লাখপতি। প্রতিমাসে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে অ্যাকাউন্টে। মোট ৩৫ হাজার মহিলাকে প্রথম ধাপে পাঠানো হবে টাকা। পরে বাকিরাও পাবেন। জেনে নিন কিভাবে পাবেন এই টাকা ও কি যোগ্যতা লাগবে এজন্য।
নারীদের জন্য নতুন প্রকল্প “Bima Sakhi Yojana”
নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এর আগেই বেশ কয়েকটি বড়সড়ো উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এমনি এক প্রকল্পে বিরাট লাভ হতে চলেছে মহিলাদের। হরিয়ানার পানিপথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্তৃক চালু করা হবে নতুন প্রকল্প, যার নাম ‘বিমা সখী যোজনা ‘। গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এই যোজনা বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে হরিয়ানার ৩৫,০০০ মহিলাকে রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা সংস্থা এলআইসির বিমা এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে। ভবিষ্যতে, আরও ৫০,০০০ মহিলাকে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এভাবে ধাপে ধাপে সারা দেশে এই যোজনার প্রসার ঘটানো হবে।
Bima Sakhi Yojana -তে কি সুবিধা মিলবে এখানে?
এই যোজনার আওতায় প্রথম বছরে মহিলারা মাসিক ৭,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। দ্বিতীয় বছরে এই অর্থের পরিমাণ কমে প্রতি মাসে ৬,০০০ টাকা হবে এবং তৃতীয় বছরে ৫,০০০ টাকা। অতিরিক্তভাবে, নির্ধারিত বিমা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২,১০০ টাকার বিশেষ ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। এছাড়াও, কমিশন-ভিত্তিক পুরস্কারের মাধ্যমে মহিলারা আরও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আবেদন করার যোগ্যতা
১. যে রাজ্য থেকে আবেদন করবেন, সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২. আবেদনকারীকে ১৮ থেকে ৫০ বছরের বয়সসীমার মধ্যে থাকতে হবে।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ন্যূনতম দশম শ্রেণি পাস থাকা বাধ্যতামূলক।
‘বিমা সখী যোজনা’ নিয়ে সরকারের বক্তব্য
সরকারি মহল ‘বিমা সখী যোজনা’ কে যথেষ্ট প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও হরিয়ানার রাজ্যপাল বান্দারু দত্তাত্রেয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা এদিন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সকলের মতে, ‘বিমা সখী যোজনা’ কেবল গ্রামীণ মহিলাদের জন্য নয়, বরং সমগ্র সমাজের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে এবং ‘বিকশিত ভারতের’ (Viksit Bharat) লক্ষ্য পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।