হাড়হিম করা ঘটনা,স্কুলের গন্ডি না পেরোনো ব্যাক্তি দাড়ি কামানোর ব্লেড দিয়ে সিজার করলেন প্রসূতির!

হাড়হিম করা ঘটনা!দাড়ি কামানোর ব্লেড দিয়ে অন্তঃসত্ত্বার সিজার করলেন এক হাতুড়ে ডাক্তার।সিজারের পরেই মৃত্যু হলো সদ্যজাত ও মায়ের।এই ঘটনার পরেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে। বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন রোগীর আত্মীয় স্বজন ও এলাকার বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে এরকম অবৈধ ক্লিনিক।এই ক্লিনিকগুলি আদতে যারা চালায় তারা আসলে ডাক্তার নয়।ভুয়ো লাইসেন্স দেখিয়ে বছরের পর বছর এই ক্লিনিকগুলো চালানো হচ্ছে।পুলিশ জানিয়েছে আসলে প্রসূতির অস্ত্রোপচার যিনি করেছেন তিনি স্কুলের গন্ডিটুকুও পার হননি।ব্লেড দিয়ে পেট চিরে দেওয়ার পর যখন রক্তারক্তি কান্ড তখন সামলাতে পারেননি ঐ হাতুড়ে ডাক্তার।অপারেশন টেবিলেই মৃত্যু হয় ঐ মহিলার। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম রাজেন্দ্র শুক্লা,বয়স ৩০ বছর। পুলিশ জানিয়েছে রাজেন্দ্র ও তার সঙ্গী রাজেশ সাহানি গ্রামে অবৈধ একটি ক্লিনিক চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও এক মহিলাকে নার্স পরিচয় দিয়ে ঐ ক্লিনিকে রাখা হয়েছিল যার নার্সিং ট্রেনিং তো নেওয়া নেই।তিনজনই আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
স্টেশন হাউস অফিসার অমরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন স্বামী রাজারাম স্ত্রী পুনমের প্রসব বেদনা ওঠার পরে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে আসার পরে সেখানে তাকে জানানো হয় কম পয়সায় সিজার করে দেওয়া হবে।আর তাতে রাজি হয়ে যান রাজারাম।এরপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও যখন স্ত্রীকে বাইরে বেরিয়ে আনা না হওয়ায় স্বামী অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন এবং দেখেন গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।টেবিলে ছিন্নভিন্ন স্ত্রীর দেহ শুধু তাই নয় মৃত স্ত্রী ও সদ্যজাত সন্তান।
এই ভয়ংকর ঘটনা দেখার পরেই রাজারাম রাজেন্দ্র ও তার সঙ্গী সাথীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান থানায়।এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চমকে গিয়েছেন দুদে পুলিশ অফিসাররাও।কিভাবে স্কুলের গন্ডি না পেরিয়েও ক্লিনিক খুলে বসেছেন তারা।শুধু তাই নয় এর আগেও এরকম মৃত্যু ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।