বছরের শেষে গরুপাচার ও কয়লাপাচারের সিবিআই হানা, বিনয় মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি

নিউজ ডেস্কঃ বছরের শেষে কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে তুঙ্গে সিবিআই তৎপরতা। এদিন শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি।প্রশ্ন কে এই বিনয় মিশ্র? বিনয় মিশ্র হল যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। গত বছর জুলাই মাসে তাঁকে ওই পদে বসানো হয়।বিনয় মিশ্র এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান।
গরু পাচার-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার ও অভিযুক্ত এনামুল হক। তাঁদের জেরা করে উঠে এসেছে বিনয় মিশ্রের নাম।বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে জড়িত ৩টি স্থানে হানা দেয় সিবিআই। তাঁর লেকটাউন, রাসবিহারী ও চেতলার বাড়িতে ৭ ঘন্টা ধরে ৩ জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।বিনয়ের একটি বাড়ি থেকে কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
বাড়িতে পাওয়া যায়নি বিনয় মিশ্রকে। তাঁর নামে জারি হয়েছে লুকআউট নােটিস, ওই ব্যবসায়ী দেশে নেই। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন দুবাইয়ে। তাঁকে ৪ জানুয়ারি সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নােটিস পাঠানাে হয়েছে। আসতে বলা হয়েছে নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে।
এই ঘটনার পর থেকেই তুণমুলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে বাবুল সুপ্রিয় একে একে সকলেই মুখ খুলছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।বিজেপির অভিযােগ বিনয় মিশ্র গরু থেকে কয়লা পাচারের মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন।কয়লা ও গরু মাফিয়াদের থেকে টাকা নিতেন তিনি। সেই টাকা চলে যেত এই রাজ্যের প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে। এমনকি সরকারি অফিসারদের বদলির বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করতেন বলে অভিযােগ।বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, একজন পাওয়ার ব্রোকার বিনয় মিশ্রর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছে। তারপরেই জরুরি বৈঠক করছেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপাে শিবিরে হুড়ােহুড়ি পড়ে গিয়েছে।