Corrupt Engineer Sanjay Rai: এবার এক সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকার পাহাড়

Corrupt Engineer Sanjay Rai: টাকার পাহাড়ের চূড়া যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই টাকার পাহাড়ের চূড়া যে কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা হয়ত জানা নেই। যত দিন যাচ্ছে ততই টাকাই পাহাড়ের হদিশ মিলছে। তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা যেন প্রতিদিন নতুন নতুন টাকার খনির সন্ধান পাচ্ছেন।হ্যা আবারও মিলল টাকার পাহাড়! তবে এবারের ঘটনাস্থল পশ্চিমবঙ্গ নয়, বরং তার পড়শি বিহার।
কিছুদিন আগে টেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতাকে নিয়ে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। তাদের দুটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা। উদ্ধার হয়েছে অনেক মাত্রায় সোনা।এমনকি হদিশ মিলছে বহু বেনামি সম্পত্তির। টাকা গোনার মেশিন সহ ব্যাঙ্ক কর্মীদেরও আনা হয়। রাতভর চলে নোট গোনার কাজ।
দুদিনে অর্পিতার বাড়ি থেকে ইডি যা টাকা উদ্ধার করেছে তা গুনতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছিলেন ব্যাঙ্কের কর্মিরা। অত্যাধুনিক মেশিন দিয়েও টাকা গুনতে তাদের কালঘাম ছুটছে। আর এই টাকা উদ্ধার এপিসোডে হাঁ করে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন আম জনতা। এত পরিমানে ২০০০ আর ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল দেখে অনেকেই ভিড়মি খেয়েছেন।
ফের টাকার পাহাড় মিলল, এবারে এক সরকারি আধিকারিকের (Corrupt Engineer Sanjay Rai) বাড়িতে ১ কোটি টাকা মিলল। শনিবার বিহার সরকারের এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করলেন নজরদারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তার বিরুদ্ধে অনেকদিন থেকেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আসছিল। এবার প্রমাণ হাতে আসতেই সেই আধিকারিকের বাড়িতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর তাতেই সাফল্য মেলে।
যে সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় তাঁর নাম সঞ্জয় কুমার রাই। তিনি রাজ্যের গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের কিষাণগঞ্জ শাখায় এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র হিসাবে কাজ করেন। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। তাঁর অধীনে থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র এবং ক্যাশিয়ারই এই অভিযোগ করেছিলেন।
সেই সূত্র ধরেই সঞ্জয়ের উপর নজরদারি শুরু করা হয়। এরপর ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ হাতে আসতেই তদন্তকারী আধিকারিকরা সঞ্জয়ের বাড়িতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পটনার ১০ নম্বর ইন্দ্রপুরী রোডের বাড়িটিতে পৌঁছে যান ভিজিল্যান্স বিভাগের প্রতিনিধিরা। আর তাতেই টাকার হদিশ মেলে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকা।
এই অভিযানে যে এত পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করা হবে, তা বুঝতে পারেননি তদন্তকারীরাই। তাই উদ্ধার হওয়া টাকা গোনার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় কাউন্টিং মেশিন আনা হয়। যাতে দ্রুত এবং নিখুঁতভাবে টাকা গোনা সম্ভব হয়। তল্লাশিতে প্রায় ১ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে আরও কিছু মূল্যবান সামগ্রী ও গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে৷ একজন সাধারণ সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকা মিলেছে।
এই ঘটনায় পর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ বিষয়ে পটনার ভিজিল্যান্স বিভাগের ডিএসপি সুজিত সাগর জানিয়েছেন ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় সঞ্জয় কুমার রাই একা নন তার সাথে অসংখ্য কর্মী ও আধিকারিক জড়িয়ে আছেন।
তাঁদের অনেকের সঙ্গে সঞ্জয়েরও যোগযোগ রয়েছে। তাঁদের সকলকেই চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সঞ্জয় কুমার রাইয়ের বাড়ি ছাড়াও বিহারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ভিজিয়ান্স বিভাগ এখনও পর্যন্ত ৪ কোটিরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে৷