প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অকাল মৃত্যুর পিছনে রয়েছে হৃদরোগ, হৃদরোগ নিয়ে কতটা সতর্ক থাকা প্রয়োজন কী বলছেন চিকিৎসকরা

নিউজ ডেস্কঃ টলিউডে ফের নক্ষত্রপতন, প্রাণ হারালেন বিশিষ্ট অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। কিছুদিনের মধ্যে একাধিক সেলেব্রিটির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।শেন ওয়ার্ন, কন্নড় স্টার পুনীত রাজকুমারের মতো একাধিক তারকার মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। এঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে অল্প বয়সে কেন হৃদরোগের সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে চিকিৎসকরা একাধিক পরামর্শ দিচ্ছেন।চিকিৎসকরা বলছেন অনিয়ন্ত্রিত জীবনই এই সমস্যার জন্য দায়ী।যেমন -ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ,অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, অত্যধিক ধূমপান ও মদ্যপান।তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।
চিকিৎসক তাপস রায়চৌধুরী বলছেন প্রাথমিকভাবে যদি রোগের লক্ষণ চেনা যায়, তাহলে তার চিকিৎসা করা যাচ্ছে। তিনি বলছেন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা কেউই ডায়াবেটিস বা ব্লাড প্রেশারকে পাত্তা দেন না। এই সমস্যাগুলি নিয়ে চিকিৎসা করান না অনেকেই এই সমস্যা থেকেই যায়। অতিরিক্ত ধুমপান, মদ্যপান আরও বাড়িয়ে দেয় এই সমস্যাকে।
পোষ্ট কোভিডের কারনে কি হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে?এ বিষয়ে চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন পোষ্ট কোভিডের সময় থেকে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বাড়ছে। তাই কোভিড হলে সতর্ক থাকুন। অনেকেরই জেনেটিকভাবে হৃদরোগের সমস্যা থাকে। রক্তে স্নেহপদার্থ জমে যাওয়ার ধরণ অনেকেরই বংশানুক্রমিক। কোন রকম সমস্যা হলে ডঃ পরামর্শ নিতে হবে।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ নিয়ে চিকিৎসকরা কী বলছেন?
এ বিষয়ে চিকিৎসক ধীমান কোহালি বলছেন অভিনেতার চেহারা দেখে মনে হয়েছে শারীরিকভাবে খুব বেশি অ্যাক্টিভ হয়তো ছিলেন না।এর থেকেও কম বয়সে অনেকেরই হার্ট অ্যাটাক দেখা গিয়েছে।তিনি পরামর্শ দিয়েছেন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বন্ধ, সুষম আহার করা,শরীর চর্চা করা ইত্যাদি শরীর সুস্থ রাখতে খুবই জরুরি।এ বিষয়ে ডা: বিশ্বাস জানান, গ্ল্যামার জগতের মানুষরা নানারকম চাপের মধ্যে দিয়ে যান। তাঁদের নিজের কেরিয়ার নিয়ে থাকে দুশ্চিন্তা। এই বিষয়গুলি হৃদরোগের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়ায়।