হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে বেশি করে জল খান আর দূরে রাখুন হৃদরোগ

নিউজ ডেস্কঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ডায়াবেটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরলের সমস্যা শুরু হতে থাকে। এর সঙ্গে বাড়ছে হার্টের রোগ। রোজ সারা বিশ্বে এই হার্টের রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ।তবে পর্যাপ্ত জল খেলে কমতে পারে হার্টের অ্যাটাকে ঝুঁকি।
যাঁরা জল এবং তরল খাবার বেশি খান, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকিও।আগে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে এই সমস্যা দেখা গেলেও এখন কিন্তু তরুণরাও হচ্ছেন হৃদরোগের শিকার।তাই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত জল খান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য প্রকাশিত হওয়া একটি রিপোর্ট বলছে, যাদের শরীর সব সময় হাইড্রেটেড থাকে তাদের হার্টের রোগের ঝুঁকি কম। বর্তমানে হার্ট ফেইলিওর একটি বড় সমস্যা। গবেষণা বলছে যারা রোজ পর্যাপ্ত জল খান, তারা কম হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন। রোজ কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল খেলে ২৫ বছর পরও এর সুফল মিলবে।কেউ যদি কম পরিমাণে জল খান, তা হলে শরীরে সিরাম সোডিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে এবং শরীরও সেই বুঝে জল সংরক্ষণের চেষ্টা করে।ফলে এমন কিছু লক্ষণ জন্ম নেয়, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়।
হার্ট সুস্থ রাখতে রোজ কতটা পরিমাণ জল খাবেনঃ-
১)দিনে কতটা পরিমাণ জল কেউ খাবেন, তা সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়।
২)মহিলাদের রোজ ৬ থেকে ৮ কাপ ও পুরুষদের ৮ থেকে ১২ কাপ তরল খাওয়া প্রয়োজন।
৩) জল ছাড়াও তরল খাবার খেলেও শরীর হাইড্রেটেড থাকে। যেমন স্যুপ, দুধ এমন খাবার থেকেও উপকারীতা পাওয়া যায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন রোজ যদি নিয়ম মেনে বেশি পরিমাণে জল খাওয়া যায় এবং নুন খাওয়ার মাত্রা কমানো যায়, তা হলে হার্ট অ্যাটাক কমানো যায়। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হাই ব্লাড প্রেশার এবং করোনারি আর্টারি ডিজিজ। তাই যদি সুস্থ জীবনযাপন করতে হয় এবং হার্টের সমস্যাকে এড়িয়ে যেতে হয়, তা হলে সাবধানী এবং সচেতন জীবনযাত্রাই একমাত্র পথ।শরীর ভালো রাখতে জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।