Dyer Fellowship: বাবা দিনমজুর!ছেলে 2.5 কোটি টাকার বৃত্তি পেয়ে মার্কিন মুলুকে পড়ার সুযোগ পেল
সেই পরিবারের ছেলে কিনা উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার (America) পেনসিলভেনিয়া (Pennsylvania) শহরে যাচ্ছে।এটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণেই বিদেশ পড়তে যাচ্ছে মেধাবী ছাত্রটি।

Dyer Fellowship: ইচ্ছেশক্তির উপরেই নির্ভর করে ভবিষ্যত যাত্রা।তা প্রমাণ করল বিহারের দলিত পরিবারের ছেলে।বাবা দিনমজুর আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। দলিত পরিবারটির প্রকৃত অর্থেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। সেই পরিবারের ছেলে কিনা উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার (America) পেনসিলভেনিয়া (Pennsylvania) শহরে যাচ্ছে।এটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণেই বিদেশ পড়তে যাচ্ছে মেধাবী ছাত্রটি।
একেই হয়তো বলে অন্ধকার থেকে আলোর উড়ান।মানুষ যে অবস্থানেই থাকুক না কেন ইচ্ছে শক্তি থাকলে সব সম্ভব।
বিহারের ফুলওয়ারশরিফের ছোট্ট গ্রাম গোনপুরার বাসিন্দা বছর সতেরোর প্রেম কুমার। ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র প্রেম। এই প্রেমই অসাধ্য সাধন করেছে। জিতে নিয়েছে ২.৫ কোটি টাকার বিখ্যাত ‘ডায়ার ফেলোশিপ’ (Dyer Fellowship) স্কলারশিপ।আশ্চর্য কাণ্ড করে পরিবার, আত্মীয়, সমাজকে চমকে দিয়েছেন বিহারের (Bihar) প্রেম কুমার।
গোটা পৃথিবী থেকে বাছাই করা ৬ জন ছাত্রের অন্যতম প্রেম। সেই সূত্রেই পেনসিলভেনিয়া যাচ্ছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস নিয়ে পড়বে পেনসিলভেনিয়ার লাফায়েটি কলেজে।প্রেম গত চার বছর ধরে পাটনার একটি গ্লোবাল ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছে।১৪ বছর বয়সেই প্রেমকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ডেক্সটেরিটি গ্লোবাল।
এই প্রতিষ্ঠানটি প্রেমকে পঠনপাঠনে নানভাবে সাহায্য করে। সেই সূত্রেই এতবড় সাফল্য কিশোরের।কয়েকদিন আগে ইনস্টিটিউট থেকেই সে জানতে পারে, আমেরিকার নামকরা কলেজ লাফায়েটে সে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য কলেজ থেকে 2.5 কোটি টাকার বৃত্তিও পেয়েছে প্রেম। পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচের পাশাপাশি অন্যান্য খরচও বহন করবে তারা। এর মধ্যে রয়েছে টিউশন ফি, বাসস্থান, বই, স্বাস্থ্যবীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি।
প্রেম কুমার বলেন আমার মা-বাবা কোনওদিন স্কুলে যাননি। আমার এই প্রাপ্তি অবিশ্বাস্য। প্রেম আরও বলেন ডেক্সটেরিটি গ্লোবাল, যারা বিহারে মহাদলিত শিশুদের জন্য কাজ করে, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের জন্যই স্বপ্ন সফল হয়েছে। আমি খুব খুশি।প্রেম তার পরিবারের প্রথম সদস্য যে কলেজে যায়। এখন সে আমেরিকার লাফায়েট কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করবে।
এ বিষয়ে ডেক্সটিরিটি গ্লোবালের (Dexterity Global) সিইও শরদ সাগর বলেন, “2013 সাল থেকে আমরা বিহারে মহাদলিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ্য এই সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নেতৃত্ব তৈরি করা, তাদের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো।
এই লাফায়েট কলেজটি আমেরিকার শীর্ষ 25টি কলেজের মধ্যে অন্যতম।এটি আমেরিকার ‘হিডেন আইভি’ কলেজের ক্যাটাগরিতে গণনা করা হয়। এই ফেলোশিপটি নির্বাচিত সেই সব ছাত্রদের দেওয়া হয় যাঁদের বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন থেকে কঠিনতম সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা রয়েছে।প্রেম ভারতে এই কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রথম দলিত ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গোটা পৃথিবী থেকে বাছাই করা সেরা ছাত্রদের অন্যতম ভারতের প্রেম কুমার। তাঁর যোগ্যতাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বেশকিছু দিন আগেই লাফায়েটি কলেজের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রেমকে। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ ম্যাথু এ হাইড লেখেন, “অভিনন্দন আপনাকে, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সেবার বিষয়ে আপনার প্রতিশ্রুতি ও সংকল্পকে স্বীকৃতি জানাতে পেরে আমরাও অনুপ্রাণিত”।