Apa house: শান্তিনিকেতনে ‘অপা’-র মাটির নীচে টাকা?ইডি আধিকারিকরা বাগান খোঁড়া শুরু করেছেন
ফলে এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে বিপুল পরিমাণ টাকা আদান প্রদানের তদন্তে আতসকাঁচের তলায় এসেছে পার্থ-অর্পিতার এই বাগান বাড়িটি।

Apa house: বুধবার সকালেই শান্তিনিকেতনে পার্থ অপিতার বাড়ি ‘অপাতে’ হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই সংবাদ শিরোনামে এসেছে অপা। ‘অপা’ মানে বোলপুর থাকা সেই বাংলো বাড়ি যার মালিক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই বাংলো বাড়ি যে তাদেরই মালিকাধীন তার নথিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।
ফলে এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে বিপুল পরিমাণ টাকা আদান প্রদানের তদন্তে আতসকাঁচের তলায় এসেছে পার্থ-অর্পিতার এই বাগান বাড়িটি। অপা একটি বিশাল বাগানবাড়ি। গেট থেকে গাছে ঘেরা জমি পেরিয়ে সেই বাগান বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা। বিশাল জমির উপর এই বাড়িতেই বুধবার তল্লাশি চালান ইডি অধিকারিকরা। তাঁরা বুধবার সকালেই হাজির হন শান্তিনিকেতনের এই বাড়িতে।
সকাল দশটা থেকে শুরু হয় তল্লাশি। বাড়িটিতে প্রবেশের মুখে মাটি খোঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রথমেই খটকা লাগে। পরে জানা যায়, গাছ লাগানোর জন্য কিছু জায়গায় মাটি খোঁড়া হয়েছিল। সেই গর্তগুলির দিকে চোখ যায় ইডি’র আধিকারিকদের। পরে গর্তগুলি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় কেয়ার টেকারকে। পরে গর্তগুলি বুজিয়ে দেওয়া হয়। তবে গর্ত বোজানোর আগে ঘটনাস্থল ভাল করে খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। অপা’য় দীর্ঘক্ষণ (Apa house) তল্লাশি চলে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু নথি তদন্তকারীরা সংগ্রহ করেছে। ইডি কর্তারা ঘটনাস্থলে একাধিক আধিকারিকদের নিয়ে এসেছেন। এমনকি মোতায়েন রয়েছেন প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে বাগানে দু’রকমের মাটি পেয়েছেন ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা। মজুত করা রয়েছে শাবল ও খোঁড়াখুঁড়ির সামগ্রী। প্রায় দশ কাঠা জমির উপর যেহেতু বাড়িটি অবস্থিত, সেই কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা খনন করতে হবে।
তবে সিআরপিএফ জওয়ানরা সরাসরি খননে অংশ নাও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে কাউকে ডেকে এনে এই কাজও করানো হতে পারে বলে খবর মিলছে। তাহলে কি খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে? পার্থ অপিতার বাড়ি অপার মাটির নিচে টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি? এখন ঠিক এই ধরনের প্রশ্ন উঠছে।
তবে এই ঘটনায় দু রকম বিষয় প্রকাশ্যে আসছে। প্রথমত, যখন বাড়ির ভিতরে ইডি কর্তারা পৌঁছন তখন তাঁরা বেশ কিছু কাগজপত্রের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দু’টি ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়াড্রব রয়েছে। তার থেকে নথি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগই দলিল ও বেশ কয়েকটি আয় ব্যায়ের হিসাব। এখান থেকেও তদন্ত এগোতে পারে।
দ্বিতীয়ত, গোয়েন্দারা যখন বাগানে এসেছিলেন তখন তাঁরা লক্ষ করেন বাগানে রয়েছে দু’ধরনের মাটি। একটা নরম মাটি,অপরদিকে শক্ত মাটি। এবার প্রশ্ন উঠছে এত কড়া রোদে বাগানের মধ্যে নরম মাটি কীভাবে এল? তাহলে কি কোনও কিছু পুঁতে রেখে তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে? এখন এসব প্রশ্ন উঠছে (Apa house)।
শুধুমাত্র ‘অপা’-য় নয়, বোলপুরে একাধিক সম্পত্তির (Apa house) হদিশ মিলেছে পার্থর।অপা-র খানিকটা দূরেই রয়েছে ‘ইচ্ছে গেস্টহাউস’। যা অনুষ্ঠান বাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর সেই বাড়িটির দরজায়ও তালা পড়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ এখানেও কোনও সম্পত্তি লোকানো থাকতে পারে।এছাড়াও সোনাঝুড়িতে রয়েছে বিশাল প্লট। যার মূল্য বিপুল। এছাড়াও আরও কিছু বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যেমন সোনাঝুড়িতে থাকা ‘তিতলি, ‘লাবণ্য’ নামে বাড়ি।