সবার প্রিয় ফল কাশ্মীরি লাল আপেল এবার ফলবে ‘অরণ্য সুন্দরী’ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে

পুরুলিয়ার বান্দোয়ানঃ আপেল অনেকেরই প্রিয় ফল।আবার সেটা যদি হয় কাশ্মীরি লাল আপেল তবে মজাই আলাদা। এবার সেই সুস্বাদু কাশ্মীরি লাল আপেল ফলতে চলেছে জঙ্গলমহলে।কাশ্মীরের পাহাড়ের ঢালে মিস্টি লাল আপেলের চাষের প্রক্রিয়া এবার শুরু হতে চলেছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে।”অরন্য সুন্দরী”তে আঙ্গুর ও স্ট্রবেরীর পর এবার ফলবে সুস্বাদু মিস্টি কাশ্মীরি লাল আপেল।
পুরুলিয়ায় প্রথম এই সরকারী উদ্যোগ।বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন এই কাজ হাতে নিয়েছে মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে ১০০ দিনের কাজে উদ্যান পালন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে জৈব সারের মাধ্যমে।
আপাতত বান্দোয়ানের চাদরা গ্রামে পরিক্ষামূলকভাবে এক বিঘা জমির উপর এই চাষ করা হচ্ছে।ব্লক প্রশাসনের তরফে গত বৃহস্পতিবার ৪০ টি আপেল চারা তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকার ভিডিও কাসিব সাবির বলেন,”এই মিস্টি আপেল মূলত শীতপ্রধান এলাকাতেই হয়ে থাকে।তবে নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় এই আপেল যে একবারেই হয়না তা নয়।তাই উদ্যানপালন দফতরের পরামর্শমতো আমরা বান্দোয়ানের মাটিতে এই ফল চাষের চ্যালেঞ্জ নিলাম।”
একসময় যে এলাকা ছিলো অশান্তির আখরা।দিনরাত বোমাবাজি ও খুনাখুনি লেগেই থাকতো সেখানে আঙ্গুর ও স্ট্রবেরী চাষে সাফল্য মেলায় এবার আপেল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাশন।ইতিমধ্যে জমিও তৈরী করে ফেলেছে তারা।চাদরা গ্রামের চম্পাবতী মাহাতোর জমিতে আপাতত এই আপেল চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বান্দোয়ানের একটি সংস্থা ৫ রকমের আপেলের চারা ৬০০ টাকা দরে হিমাচল প্রদেশ থেকে নিয়ে এসেছে।উক্ত জমিতে দুই বছর বয়সে সেই গাছ লাগালে চার বছর বয়স অবধি প্রায় ১০ কেজি করে আপেল পাওয়া যাবে।
চম্পাবতী বলেন,” আমার জমি ফাঁকা ছিলো।ব্লক প্রশাসন আপেলের কথা বলায় আমরা ভীষণ উৎসাহিত হই।জমি প্রস্তুতি থেকে উদ্যানপালন যেভাবে পরামর্শ দিয়ে চলছেন তাতে মনে হচ্ছে রুখা জমিতেও আপেল ফলাতে পারবো। অন্যদিকে উদ্যানপালন বিভাগ জানিয়েছে,”জঙ্গলমহল রুখা হলেও শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা পরে।হারহিম করা শীত এই চাষের সহায়ক।ফলে এই চাষে সাফল্য আসবেই বলে মনে করেন বান্দোয়ানের উদ্যানপালন আধিকারিকরা।