ব্যান হতে চলেছে Facebook এর প্রায় 1500 অ্যাকাউন্টকে

নিউজ ডেস্কঃ ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের উপর নজরদারির ঘটনাও।আর এই নজরদারির কারনে Facebook প্রায় 1500 অ্যাকাউন্টকে ব্যান করল। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে যা ভারত থেকে পরিচালিত।সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিভিন্ন সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং সাধারণ মানুষের উপর নজরদারি চালানো হত। বিভিন্ন সংস্থা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি ক্লায়েন্টের জন্য এই নজরদারি চালাত।ওই তালিকায় 7টি সংস্থার নাম রয়েছে।যে সংস্থাগুলি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতের সংস্থা BellTrox, নর্থ ম্যাকডনিয়ানের সংস্থা Cytrox এবং চিনের একটি সংস্থা। যদিও চিনের সংস্থাটির নাম জানা যায়নি।
চিনের সংস্থাটির নাম জানা না গেলেও Facebook জানতে পেরেছে সেখান থেকেই পুরো প্রক্রিয়াটির সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হত।
এরা বিভিন্ন নামে Facebook এবং Instagram পেজ তৈরি করে ওই পেজ ব্যবহার করে তারা অন্য ব্যবহারকারী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার কাজ করত। তারা প্রায় 100টি দেশের 50 হাজার Facebook ব্যবহারকারীকে টার্গেট করেছিল।আর এই পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিচ্ছিল ইজরাইলের বেশ কয়েকটি সংস্থা।একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে Facebook অথবা Meta-র তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।সেই বিবৃতিতে সংস্থার সিকিউরিটি পলিসি হেড Nathaniel Gleicher জানিয়েছেন বড় সংস্থার হয়ে একাধিক ছোটো সংস্থা নজরদারির কাজ করত।মূলত Cobwebs Technologies, Cognyte, Black Cube এবং Bluehawk Cl নামের সংস্থাগুলির সঙ্গে একাধিক ছোট সংস্থা যুক্ত ছিল।
যারা Facebook এ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে নজরদারি চালাত। Facebook এর তরফে আরও জানানো হয়েছে,ওই সংস্থাগুলি জানিয়েছিল তারা অপরাধীদের ট্র্যাক করার জন্যই ওই ধরনের পেজ তৈরি করেছিল।কিন্তু দেখা গেছে সাংবাদিক, মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরও টার্গেট করা হয়েছে।তবে এই সবকটি অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এরা পুরো কাজটি কীভাবে করতঃ-
Facebook-এর ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট থেকে এবিষয়ে জানা গেছে, এই সংস্থাগুলি প্রথমে Wikipedia এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্ট থেকে বিভিন্ন প্রভাবশালী এবং নামী ব্যক্তি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করত।তথ্য সংগ্রহ করে সেই ব্যক্তির নামে Facebook অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হত।সেই অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে চ্যাট করা হত।এছাড়াও সেই সব অ্যাকাউন্টগুলি বিভিন্ন গ্রুপের সাথে যুক্ত হত।এমনকি বিভিন্ন সফটওয়ারের লিঙ্ক শেয়ার করা হত ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সফটওয়ার নিজে থেকে ডাউনলোড হয়ে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে নজরদারি শুরু করে দিত।