বয়স অনুযায়ী কত ঘন্টা ঘুমানাে উচিত, জেনে নিন এক নজরে

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম যদি কম হয় শরীরে অবসাদ চলে আসে কাজে মন বসে না। কোনাে কাজই ঠিকমত করা যায় না। আস্তে আস্তে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে।কিন্তু কম ঘুমানোর মতো বেশি ঘুমানােটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার শৈশবে, কৈশােরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা।তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন বয়সে মানুষের ঠিক কতটা ঘুম দরকার।
১. নবজাতক শিশুঃ-
নবজাতক শিশুদের জন্য দৈনিক ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা ঘুম প্রয়ােজন। যদিও ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টাও যথেষ্ট হতে পারে।
২. টিনএজারঃ-
১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিঃ-
১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও ঘুমের পরিমাণ কিছুটা বেশি রাখা উচিত। এক্ষেত্রে প্রয়ােজন অনুযায়ী প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানাে উচিত।
৪. গর্ভবতী নারীঃ-
গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস একটু বেশি ঘুম প্রয়ােজন।
৫. ২৬ থেকে ৬৪ বছরঃ-
এই বয়সের একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানাে জরুরি।
৬. ৬৫ বছরের বেশিঃ-
বয়স যখন পঁয়ষট্টি পার হয়, তখন ঘুমাতে হবে ৭-৮ ঘণ্টা। অনেকেই এ বয়সে নানা কারণে ভালাে ঘুমাতে পারে না।
বিজ্ঞানীদের মতে, দিনের বেলায় যদি কারও বারবার ঝিমুনি আসে তবে বুঝতে হবে রাতে তার পরিমিত ঘুম হয়নি।অর্থাৎ, রাতে যতটুকু ঘুমালে আপনি দিনে সতেজ থাকবেন ততটুকু সময় ঘুমানাে উচিত। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমাবেন।রাত ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন এবং সকাল ৭ টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠবেন।