
শুক্রবার ১০ জুন এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।তাতে পাশের হার বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে। তবে পাশ করতে পারেননি বহু পড়ুয়া।অকৃতকার্য ছাত্রীরা শনিবার থেকেই পাশ করানোর দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করেছে।জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ফেল করা পড়ুয়ারা দাবি করছে তাদের পাশ করিয়ে দিতে হবে।
আর সেই দাবি পূরণে কোথাও অবরোধ আবার কোথাও বা স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।হাতে প্লাকার্ড নিয়ে তাতে লেখা আমাদের সবাইকে পাশ করাতে হবে।আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি আমাদের কোন ত্রুটি নেই আমাদেরকে ফেল করানো হয়েছে।ছাত্র ছাত্রীদের দাবি তাঁদের থেকে খারাপ ছাত্র ছাত্রীরাও অনেক ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। আর তাঁরা ভালো পরীক্ষা দিয়েও অকৃতকার্য হয়েছেন।
তাঁদের আরও বক্তব্য গত বছর পরীক্ষা না নিয়ে, গড় নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এবার তাঁরা পরীক্ষায় বসেছেন এবং ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন। তাহলে তাঁদের ফেল করানো হল কেন? এই প্রশ্ন তুলে এবং পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখে পড়ুয়ারা।পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছে স্কুল পড়ুয়ারা। এর ফলে জাতীয় সড়কে ব্যপক যানযট তৈরি হয়। স্তব্ধ হয়ে পরে জাতীয় সড়ক।
জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চলছে উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের।এমনকি কোথাও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।কোথাও উত্তেজিত পড়ুয়ারা স্কুল গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।আবার কোথাও আটকে রাখা হয় স্কুলের শিক্ষিকাদের।পাশ না করালে কেউ দিচ্ছেন অনশনের হুমকি, কেউবা দিচ্ছেন আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি।
বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা বলেন, ‘আমাদের দেখে যে মেয়েরা পরীক্ষা দিল তাঁরা পাশ করে গেল, আমরা কি করে ফেল করি। এটা আমরা মানছি না। হয় সুইসাইড করব নয় কিছু একটা করব। আমরা ফেল করার মতো পরীক্ষা দিইনি।’আর এক ছাত্রীর কথায় ‘আমাদের পাশ করিয়ে দিতেই হবে। পাশ না করানো পর্যন্ত রাস্তা থেকে উঠব না।’ বিক্ষোভকারী অন্য এক ছাত্রীর কথায়, ‘আমরা এতটাও খারাপ ছাত্রী নই। এতটাও খারাপ পরীক্ষা দিইনি যে ফেল করব’।
কিন্তু পাশের দাবিতে যারা এভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের কাছে সাংবাদিক যখন এইচএস এর পুরো ইংরেজি বানান জিজ্ঞাসা করেন।তখন দেখা যাচ্ছে বানান বলতেই পারছে না ছাত্রী বরং স্লোগান তুলছে মানছি না মানব না।আবার কোথাও কোন ছাত্রীকে আমব্রেলা বানান জিগেস করলে সেটাও বলতে পারছে না ছাত্রীরা। আবার সেই ছাত্রীরাই বলছে তারা অন্য সব বিষয়ে লেটার পেয়েছে।
কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা জোর গলায় বলছে আমার মেয়ে ইংরেজিতে এসএমএস করে সে কি করে ইংরেজিতে ফেল করে।যারা বাংলায় এসএমএস করে তারা কি করে ইংরেজিতে পাশ করল।কোন কোন ছাত্র ছাত্রী আবার এইচএস দিয়েছে নাকি উচ্চমাধ্যমিক সেটাই বলতে পারছে না।রোজ খবরের শিরোনামে উঠে আসছে এমন নানা তথ্য।এই সব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। অকৃতকার্যদের পাশ করানোর দাবি আদৌ মানা হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।