যদি আপনি মাঝখানে সিঁথি করতে ভালোবাসেন তবে রইলো কয়েকটি দূর্দান্ত হেয়ারস্টাইল।

একক্সপেরিমেন্ট করতে অনেকেই পছন্দ করেন।তবে চুলের স্টাইল বদলে যাবে ভেবে অনেকেই ছেলে হোক বা মেয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না।আমাদের মা দিদিমারা চুলের মাঝখানে সিথি করতে পছন্দ করতেন।সেই প্রথা মেনেই অনেক আধুনিকারাও চুলের মাঝখানে সিথিতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।আর এখন তো বলিউডেও মাঝখানে সিথি দারুণ ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে।সেই কথা মেনে আমরা নিয়ে এসেছি এমন কয়েকটি হেয়ারস্টাইল যা দারুণ মানানসই সেন্টার পার্টিংয়ের সঙ্গে।একনজরে দেখে নিন।
ফাঁপানো পনিটেল:
সদ্য শ্যাম্পু করা চুলে এই স্টাইলটা ভীষণ সুন্দর লাগে।ব্লো ড্রাই না করে এমনি চুলটিকে প্রথমে ড্রাই করে নিন।মাথাটা চুলগুলো মাঝখানে সিঁথি করে নিন।তারপর সামনের অংশে জেল বা সিরাম লাগিয়ে চুলটা সেট করে নিন।যাতে চুল উড়ে না যায়।পেছনের দিকে পুরো চুল পনিটেল বেধেঁ নিন তবে মনে রাখবেন পেছনের চুল জেল লাগাতে যাবেন না।সামনের চুল সেট ও পেছনের চুল ফোলা থাকবে।এভাবে চুল বাঁধলে যে কোন পার্টিতে বা অনুষ্ঠানে ভীষণ ভালো লাগবে।
মাছবিনুনি :
কৃতি খারবান্দা থেকে শুরু করে সোনম কাপুর ও বলিউডের তাবড় সুন্দরীরা মাঝখানে সিঁথি করে এই স্টাইলে চুল বাঁধছেন।এই স্টাইল যে কোন রকম ট্রাডিশনাল ড্রেস থেকে শুরু করে এথনিক পোশাকের সাথে সুন্দর মানিয়ে যায়।
বিনিসমেত পনিটেল :
সিঁথির একপাশে বা দুপাশে চুলের সরু গুছি দিয়ে বিনুনি বেধেঁ নিন।এতে করে আপনার সাধারণ পনিটেলই অসাধারণ লাগবে।আর মনে হবে আপনি বিনুনির হেয়ারব্যান্ড পরে আছেন।যে কোন পার্টি বা আড্ডা যে কোন জায়গায় মানিয়ে যাবে এই হেয়ারস্টাইলটি।
হাফ আপ হাফ ডাউন:
খুবই কম সময়ে এই হেয়ারস্টাইলটা বাঁধতে পারেন।মাঝখানে সিঁথি করে চুলটা আঁচড়ে নিন।এরপর পেছনের উপরের চুল খোঁপার মতো বেধেঁ নিয়ে কাঁটা বা ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন।এরপর খোঁপার নিচের চুলগুলো ছেড়ে রাখুন।স্টাইলিশ একসেসরি দিয়ে সাজিয়ে নিলে চুলটি যে কোন পার্টি বা অনুষ্ঠানে সুন্দর মানাবে এই স্টাইলটি।কম সময়ে রেডি হয়ে কোথাও গেলে এভাবে চুল বেধেঁ চলে যেতে পারেন।তবে এক্ষেত্রে স্টাইলিশ একসেসরি না লাগালেও চলবে।
লো বান:
বরাবরই মহিলাদের কাছে পছন্দ খোঁপা।তাই বিয়েবাড়ি বা কোন অনুষ্ঠানে মাথার পেছনের দিকে নিচু করে খোঁপা বেধেঁ তাতে গাজরা লাগিয়ে নিলে বরাবরই হিট।