চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচির পাঠানটুলিতে চলল গুলি,এক যুবকের মৃত্যু, রিপাের্ট তলব নির্বাচন কমিশনের
আজ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ৫ জেলায় মােট ৪৪ আসনে ভােটগ্রহণ। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে যথাক্রমে ৫ ও ৯ আসনে ভােট।আজ ভােট গ্রহণের দিনেই রণক্ষেত্র কোচবিহারের শীতলকুচিতে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চলল গুলি।এক বিজেপি কর্মীর মাথায় গুলি লেগেছে বলে অভিযােগ। যদিও তৃণমূলের দাবি তাঁদের কর্মীর গুলি লেগেছে মাথায়। গুলিতে মারা গিয়েছেন ১৮ বছরের যুবক।
সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে শীতলকুচিতে।
তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে শীতলকুচি। সংঘর্ষের জেরে গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে পাঠানপুলিতে।মৃত রাজনৈতিক কর্মী বিজেপি না তৃণমূল তা এখন স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ব্যাফ নামানাে হয়েছে।কোচবিহারের পাঠানপুলিতে গুলি চালানোর ঘটনায় রিপাের্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল তার বিস্তারিত রিপাের্ট জানতে চাওয়া হয়েছে।তবে গুলি চালানাের ঘটনার পরেও প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন ভােট কেন্দ্রে। তাঁরা সকলে বুথে গিয়ে ভােট দিচ্ছেন।
শীলকুচিতে গুলি চালানাের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।গ্রামবাসীরা অভিযােগ করেছেন ভােট দিতে না দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। তাঁরা এসে দফায় দফায় ভয় দেখাচ্ছে।এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অভিযােগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে এলাকায়।এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘােষ অভিযােগ করেছেন সংখ্যালঘু ভােট পেতেই অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি।তৃণমূলের সঙ্গে সংখ্যালঘু ভােট রয়েছে বলেই শীতলকুচিতে উদ্দেশ্য প্রণােদিত ভাবে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। ভােটাররা যাতে ভয় পেয়ে এলাকায় যেতে না পারেন সেজন্যই এই ঘটনা ঘটানাে হয়েছে।