নিউজ ডেস্কঃ ভয়ংকর ঘটনা। ধর্ষণ রুখতে নাকি শিশুকন্যা ও কিশোরীদের স্তনের উপর পাথর গরম করে ছ্যাকা দেওয়া হচ্ছে।ধর্ষনের আসল কারন হিসেবে স্তনের আকারকে তুলে ধরেছেন এমন ছ্যাকা দেওয়ার মতো কাজ সম্পাদনকারীরা।ধর্ষণ রোখা যাবে বলেই তাদের মত।এমন কাজ করলে নাকি ধর্ষণ রোখা যাবে বলেছেন ঐ কাজ সম্পাদনকারীরা।বাদ যাচ্ছে না ১০ বছরের কিশোরীরাও। সম্প্রতি ব্রিটিশ গনমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এমনই এক প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন।
স্তনের আকার ছোট থাকলে তাদের প্রতি যৌন আসক্তি কমে যাবে পুরুষদের এমনটাই দাবি করেছেন ঐ সব মানুষ।
জানা গিয়েছে এটি আফ্রিকার একটি বহু পুরোনো প্রথা হলেও বর্তমানে তা ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনের মতো দেশেও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১০০০ জন ব্রিটিশ মহিলা ও কিশোরী এই ঘটনার শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে বাদ যায়নি ১০ বছরের শিশুকন্যাও।
ব্রিটেনের লন্ডন,এসেক্স,ইয়র্কশায়ার,ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন অনেকেই এমন খবর সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন কমিউনিটি ওয়ার্কার্সরা।
আফ্রিকার এই প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী বালিকা ও কিশোরীদের মধ্যে গরম পাথর চাপিয়ে স্তনের আকার বৃদ্ধি রোধ করার মতো কষ্টদায়ক ও ভয়ংকর প্রথা চালু আছে।তারা এটাকে ঐতিহ্য হিসেবে মানে।বাড়ির বড় মহিলারা গরম পাথর চাপিয়ে দিয়ে ছোট্ট মেয়েদের স্তনের উপরে আয়রন করেন, যাতে স্তনের টিস্যুগুলো ভেঙে গিয়ে স্তনের আকার না বাড়তে পারে।
এক কমিউনিটি ওয়ার্কার এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে দক্ষিণ লন্ডনে এমন ঘটনার শিকার প্রায় ১৫-২০ জনের মতো। পুলিশের মাধ্যমে জানা গিয়েছে এদের নামে অভিযোগ দায়ের না হলেও ঘটনা ঘটছে বলে তাদের সন্দেহ রয়েছে।তবে জাতিসংঘ এই ঘটনাকে শিশুনিগ্রহ বলেই চিহ্নিত করেছে।