ইন্দোনেশিয়াঃ উড়ানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান।দেশের রাজধানী জাকার্তার উত্তর-পশ্চিমে জাভা সাগরে বিমানটি ভেঙে পড়েছে।
শনিবার দুপুরে জাকার্তার সােকানাে-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পােনতিয়ানাকের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের এসজে ১৮২ নম্বর বিমানটি। পাইলট, সহকারী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে তাতে ৬২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৬ শিশু,শিশুদের মধ্যে আবার একজন সদ্যোজাত।
বিমানবন্দর থেকে উড়ানের ৪ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের।যে সময় সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়, তখন বিমানটি এক মিনিটের মধ্যে আচমকা দশ হাজার ফিট নিচে নেমে এসেছিল। এই বিমানটির যান্ত্রিক সুরক্ষা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। তবুও সংস্থাটি বিমানটিকে ওড়ানাের সিদ্ধান্ত নেয়।
যাত্রীদের মৃতদেহ ও দেহাংশ ভেসে আসছে উপকূলে।সকলের মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, যেভাবে ভেঙে পড়েছে তাতে কারর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। রবিবার সকালে দু’টি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে।যার মধ্যে ছিল যাত্রীর দেহাংশ, অন্যটিতে ছিন্নবিন্ন জিনিসপত্র।ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে জাকার্তা প্রশাসনের ১০টি জাহাজ। নৌবাহিনীর ডুবুরিদেরও নামানাে হয়েছে।শনিবারের দুর্ঘটনার পিছনে কী কারণ ছিল, তা এখনও জানা যায়নি।তবে উড়ানের সময় জাকার্তায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আবহাওয়ার কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ধ্বংসাবশেষের টুকরাে পরীক্ষা করে।
নিখোঁজ বিমানটি বােয়িং ৭৩৭-৫০০ সিরিজের,২৬ বছর ধরে যাত্রী পরিবহণে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছিল।নিরাপত্তার দিক থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিমান পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই উদ্বেগ ধরা পড়েছে। ২০১৮ সালে এই জাভা সাগরেই ভেঙে পড়ে লায়ন এয়ার ফ্লাইট ৬১০,তাতে ১৮৯ জন যাত্রী ছিলেন।সে বার ৭৩৭ ম্যাক্স জেটলাইনার অ্যান্টিস্টল প্রযুক্তি বিকল হয়ে যাওয়াতেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। ২০১৯ সালের মার্চে ৭৩৭ ম্যাক্সের আর একটি বিমান ইথিওপিয়ায় ভেঙে পড়ে।