নিউজ ডেস্কঃ বারবার সরকারী নির্দেশিকা,চিকিৎসকদের অনুরোধ এত সবকিছু সত্যেও মানুষ কেউ কেউ এখনো অসচেতন। পুজোর সময়ও অব্যাহত রইলো মৃত্যু মিছিল। এদিন বিসর্জন সময়কালে মোট ৪জন চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ওয়েস্টবেঙ্গল ড.ফোরামের চিকিৎসক রাজিব পান্ডে এদিন বলেছেন,”আমরা সকলের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি যেভাবেই হোক সংক্রমণ ও মৃত্যু আটকাতে হবে। কিন্তু বাস্তব তো দেখছি উদ্বেগ বাড়ছে।
প্রান বাচানোর কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরাই প্রান হারাচ্ছেন। “অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসের ডক্টরসের রাজ্য সম্পাদক মানস গুমটা বলেছেন,”আমরা প্রতি মূহুর্তে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছি।
কেউ সতর্ক ভাবে চলছেন কেউ চলছেননা। জানিনা এ পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।তবে মনে রাখতে হবে চিকিৎসকদেরও ক্লান্তি আছে। চিকিৎসকরা মৃত্যুর বলি হচ্ছেন প্রতিদিনই।
এখনও সময় আছে সতর্ক থাকতে হবে।মৃত ঐ চারজন চিকিৎসকেরা হলেন বর্ধমানের মেমারির ৭৫ বছর বয়সী ড.দিলীপ ভট্টাচার্য্য,চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ৮০ বছর বয়সী ড.সুজন কুমার মিত্র,৬৫বছর বয়সী ড.দিলীপ বিশ্বাস,ড.অমল রায়।
সম্প্রতি দিলীপ বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন সিউরি জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় অষ্টমীর দিন সকালে। অপরদিকে ড.অমল রায়ের মৃত্যু হয় মঙ্গলবার সকালে।সবমিলিয়ে ভীষণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।