নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ সময়ের জীবন পেয়েও আমরা অনেক সময় পরোপকার করতে পারিনা।কিন্তু ছোট্ট শিশু ধনিষ্ঠা বয়স মাত্র যার কুড়ি সে এতটুকু বয়সে এতবড় উপকার করে যাবে অন্যদের তা কি কেউ জানতো।যেই বয়সে তার বাবা মা ও আত্মীয় স্বজনদের কোলে করে ঘোরার কথা সেই বয়সে সে এত মানুষের উপকার করবে সেটা কে জানতো।একটি দূর্ঘটনা তার জীবনটাকে শেষ করে দিলেও সে যা করে গেলো তা উদাহরণ হয়ে থাকবে।দেশের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী Cadaver Donor ধনিষ্ঠা। মাস ২০র মেয়ে ধনিষ্ঠা যা অঙ্গদান করে গেলো তাতে জীবন বেচে গেলো ৫ জনের।
বাড়ির বারান্দায় খেলতে খেলতে ৮ ই জানুয়ারি পা পিছলে পড়ে গিয়ে বেহুশ হয়ে গিয়েছিল ধনিষ্ঠা।এরপর তার বাবা মা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাকে বাচানোর জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন।১১ জানুয়ারি ধনিষ্ঠার পরিবারকে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন ধনিষ্ঠার ব্রেন ডেথ হয়েছে।তবে মস্তিষ্ক কাজ না করলেও তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি সচল ছিলো।এদিকে এমন অবস্থায় মেয়েকে হারানোর শোকে বিহ্বল হলেও বাবা মা সিদ্ধান্ত নেন ধনিষ্ঠার অঙ্গদান করবেন।ধনিষ্ঠার বাবা আশিষবাবু বলেছেন হাসপাতালে এসে দেখি কত মানুষ অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে কাউকে বাচানো গেলে তো ভালো হয়।মেয়েকে তো আমরা আর ফিরে পাবোনা তাই কিছু মানুষের যদি জীবন বাচে তো খারাপ কি।
পাঁচ লাখ ভারতীয় মানুষের জীবন বাঁচে অঙ্গদানের ফলে।যেখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে অঙ্গদানের সংখ্যা খুবই কম।ধনিষ্ঠার বাবা আশিষবাবু ও মা ববিতার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল কতৃপক্ষ।ঐ হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন আশিষ ও ববিতার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।তাদের এই উদ্যোগ থেকে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে।