নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরে উড়ি সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান গোলাগুলি চালায়।হঠাৎই সেই গুলি লেগে নিহত হন বঙ্গসন্তান নদীয়ার তেহট্টের বাসিন্দা বছর ২৪ এর সুবোধ ঘোষ।ভারতীয় এই সেনা গানারের পোস্টিং ছিলো কাশ্মীরেই।ঐ হামলায় ভারতীয় একজন বিএসএফ সাব ইন্সপেক্টর,সেনা জওয়ান তিনজন সহ মোট দশজন শহীদ হয়েছিলেন।রবিবার গভীর রাতে নদীয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরে কফিনবন্দী সুবোধের দেহ পৌঁছায়।সেই সময়ে তাঁর নিজের গ্রাম সহ আশেপাশের গ্রামের লোকজনও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বীর এই শহীদকে শেষ দেখা দেখার জন্য।
দেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছনোর পর পরই অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।সেই সময় তাঁর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃনমুল সাংসদ মহুয়া মৈত্র,রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।জানা গিয়েছে গতবছর জুলাইয়ে বিয়ে করেছিলেন সুবোধ।বর্তমানে চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার।কথা ছিলো ডিসেম্বরে ছুটিতে বাড়ি এসে অন্নপ্রাশন করা হবে মেয়ের।কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা সুবোধের।বাড়ি ডিসেম্বর মাসের আগেই ফিরলেন কিন্তু কফিনবন্দী হয়ে।তরতাজা ২৪ বছরের ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে গেছেন সুবোধের বাবা গৌরাঙ্গ ঘোষ।শুক্রবার রাতে ফোন আসার পরই জানতে পারি এই দূর্ঘটনার কথা এমনই বলেছেন স্ত্রী অনিন্দিতা।ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এদিন সুবোধকে গার্ড অফ অনার দিয়ে শেষ সম্মান জানানো হয়।