নিউজ ডেস্কঃ বিয়ের দিন নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে মেয়েদের মধ্যে।বিশেষ করে শ্বশুরবাড়িতে পা দেওয়ার প্রথম দিনকে ঘিরে।আর শ্বশুরবাড়িতে পা দেওয়ার প্রথম দিনটা প্রায় মেয়েরই ভালো কাটে।
তবে এই ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা।বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম রাতটাই বিভীষিকাময় হয়ে উঠলো এই নববধূর ক্ষেত্রে।কেটে নেওয়া হলো চুল, আর চোখে ঢেলে দেওয়া হলো ‘ফেভিকুইক’।তবে এই ঘটনা ঘটালো শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নয় এই ঘটনা ঘটালো বরের প্রেমিকা।
বিহারের নালন্দা জেলায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে।বিহার পুলিশ জানিয়েছে মঙ্গলবার(২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।মোরা তলব গ্রামের বাসিন্দা গোপাল রাম নিজের বোনের এক বান্ধবীর সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রেম করতেন।কিন্তু বাড়ির মতে বিয়ে করতে বাধ্য হন শেখপুরা গ্রামের এক মহিলার সাথে।বিয়ে করে বৌ নিয়ে আত্মীয় স্বজন সকলেই বাড়িতে ফেরেন ১ ডিসেম্বর।
গোপালের বোনের বান্ধবী হওয়ায় প্রায় গোপালদের বাড়ি আসতো গোপালের প্রেমিকা।২ নভেম্বর মঙ্গলবার বৌ দেখতে আসার কারন দেখিয়ে গোপালের ঘরে প্রবেশ করে ঐ মেয়েটি।আগের দিনের ক্লান্তির দরুন সেদিন সকলেই তাড়াতাড়ি শুয়ে পরেছিলেন।গোপালের বৌও ঘুমিয়ে ছিলেন আর এই সুযোগে গোপালের প্রেমিকা নববধূর চুল কেটে,চোখে ফেভিকুইক ঢেলে দেয়।
এরপর যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে নববধূ।আর এই চিৎকারে সবাই উঠে দৌড়ে আসে নববধূর কাছে।অপরদিকে মেয়েটি পালাতে চেষ্টা করলেও বাড়ির লোকজনের হাতে ধরা পরে যায়।তাকে রাতভর আটকে রাখা হয়।অভিযোগ রয়েছে মারধরেরও।পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শক্তিশালী আঠা ফেভিকুইক চোখে পরাতে গোপাল রামের বৌয়ের চোখ ঝলসে গিয়েছে। তাকে আপাতত নালন্দার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছে ভদ্রমহিলার শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে দুটি চোখ।এই ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা গ্রাম থমথমে হয়ে রয়েছে।কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা মারপিট রাতে না হয় তার জন্য গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।