Laxmir bhandar – আগামী ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগেই মাস্টারপ্ল্যান সাজিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল রাজ্যের দুই জনপ্রিয় প্রকল্পের ঘোষণাতেই। বাংলায় এখন সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে দুটি প্রকল্প প্রথমটি- লক্ষী ভান্ডার (WB Laxmir bhandar), দ্বিতীয়টি- কন্যাশ্রী প্রকল্প। আগামী দিনে নিজের ভোট ব্যাংক বাড়াতে এই দুটি প্রকল্পকেই নতুন করে সাজাতে মাস্টার্স স্ট্রোক দেবে রাজ্য সরকার। আসুন জেনে নেই এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
Laxmir bhandar -এর নতুন খবর।
বাংলার ঘরে ঘরে জনপ্রিয় যে প্রকল্পটি সেটি হল লক্ষী ভান্ডার। রাজ্যের প্রায় সমস্ত মহিলারাই পেয়ে থাকেন এই সুবিধা। এই প্রকল্পটি মূলত তৈরি করেছিলেন মা-বোনেদের লক্ষ্মীর ঝাঁপি তৈরি করে দেবার উদ্দেশ্যে। মা-বোনেদের সাবলম্বী করে তোলার একটি চেষ্টা গ্রহন করেছিল রাজ্য সরকার, তাতে সফলও হয়েছেন তাঁরা। প্রকল্পের টাকা আরো কিছুটা বাড়বে বলেই সুত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে। সদ্য বাড়ানো হয়েছে এই প্রকল্পের টাকা, আগামীদিনে আরও কিছুটা বাড়ার খবর রয়েছে।
লক্ষী ভান্ডারের (Laxmir bhandar 2024) পাশাপাশি পশ্চিমবাংলায় আরো একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হলো কন্যাশ্রী প্রকল্প বা Kanyashree Prakalpa। যে প্রকল্পের অধীনে ছাত্রীরা টাকা পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের তিনটি স্কিম আপাতত চালু রয়েছে। একটি বার্ষিক বৃত্তি হিসেবে যেখানে ছাত্রীরা পেয়ে থাকে এক হাজার টাকা করে, এছাড়াও রয়েছে মাসিক বৃত্তি যাতে ছাত্রীরা পেয়ে থাকে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং আরো একটি এককালীন বৃত্তি রয়েছে যেটিতে ছাত্রীরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ছাত্রীদের বয়স হতে হয় ১৩ বছরের বেশি এবং ১৮ বছরের কম। যে কোন অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা ছাত্রী এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তবে তার জন্য ছাত্রীদের পারিবারিক বাৎসরিক আয় হতে হবে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার কম। ১৩ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ছাত্রীরা বার্ষিক হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। এমনকি ১৮ বছর বয়সী ছাত্রীরা এবং অবিবাহিত মেয়েরা এককালীন ভাতা পাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
বর্তমানে এ সমস্ত নিয়ম আর নেই, এখন সকল সরকারি স্কুলের পাঠরত যে কোন ছাত্রী পেতে পারেন লক্ষী ভান্ডার ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা। রাজ্যের মেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার যে এক প্রচেষ্টা তা যথেষ্টই প্রশংসার দাবি রাখে। সামনেই রয়েছে বিধানসভা ভোট আর এই দুই প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই জয় লাভের চেষ্টা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আশা করা যায় রাজ্য সরকারের আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন তা সফলতা এনে দেবে। আগামী দিনে রাজ্যের গৃহবধূ ও মহিলারা রাজ্য সরকারের হাতকে আরো সুদৃঢ় করে তুলবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।