প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রায় ট্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিদিন দেশের ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। ভারতের বেশিরভাগ মানুষ তাদের কর্ম ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য ট্রেনকেই ব্যবহার করে থাকেন। এক কথায় এক্সপ্রেস ট্রেন হোক কিংবা লোকাল ট্রেন কিংবা প্যাসেঞ্জার ভারতবর্ষের মেরুদন্ড হলো তার রেল ব্যবস্থা।
ভারতীয় রেল তরফে বরাবরই মহিলাদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সুরক্ষা জনিত ব্যবস্থা করা থাকে যেমন লোকাল ট্রেনে আলাদা করে মহিলা কামরা রাখা। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রেও আলাদা করে মহিলা কামরা রাখা মহিলা কামরার ক্ষেত্রে মহিলা রেল পুলিশ রাখা। মহিলাদের জন্য রেলের আলাদা হেল্প লাইন বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে মহিলাদের জন্য আলাদা করে বসার জায়গা প্রভৃতি। এরকমই মহিলাদের জন্য আরো একগুচ্ছ নতুন ব্যবস্থা নিতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এবারে মহিলা কামরার জন্য আরও এক নতুন সুরক্ষা নিয়ম নিয়ে এলো রেল। এই সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা আরো বেশি ভালোভাবে নিশ্চিত হবে রাত নটার পর ট্রেনে উঠলেই আপনি এই জিনিসটি দেখতে পাবেন। নতুন করে এই সুরক্ষা নিয়ম চালু করে দিয়েছে রেল, এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পরে মহিলারা খুব সহজেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন কোনরকম অসুবিধা ছাড়া সুরক্ষিতভাবে।
এই নতুন নিয়মে রেল তরফে বলা হয়েছে প্রতিটি লোকাল ট্রেন (local train) যেগুলি রাত্রিবেলায় যাতায়াত করে থাকে সেই সকল লোকাল ট্রেনে রাত ন’টা থেকেই পাহারায় থাকবে জিআরপি। এর আগেও মহিলা কামরায় জিআরপি থাকতো তবে মধ্যরাতে সেই জিআরপি থাকত না বর্তমানে রাত ন’টা থেকে সকাল ছটা অব্দিও রেলের মহিলা কামড়াগুলিতে থাকবে মহিলা জিআরপি। এতে মহিলা সুরক্ষা আরো বেশি করে পাওয়া যাবে।
মুম্বাই এবং কলকাতার মতো বড় শহরে যেখানে লোকাল ট্রেন মানুষের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার মূল উপায় সেই সমস্ত জায়গায় এই ধরনের সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নতুন সুরক্ষার কারণে রেল অনেক সাধুবাদ পাচ্ছে। বরাবর মহিলা এবং সাধারণ যাত্রীদের সুরক্ষায় রিয়েল তৎপর থাকে রেল। তাই হয়তো বর্তমানে মানুষের কাছে রেল যাত্রা সব থেকে সুরক্ষিত এবং সুলভ মূল্যে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার একটি উপায়। রেল ব্যবস্থাকে ভারতবর্ষের হৃৎপিণ্ড বলা যেতে পারে।