বাজারে এসেছে ‘ম্যাজিক চাল ‘ ? লাগবে না আঁচ, জলে একঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলেই তৈরি ভাত,

নিউজ ডেস্কঃ এবার আর ভাত রান্না করার জন্য আপনাকে গ্যাস খরচ করতে হবে না।জ্বালানির খরচ বাঁচাতে এমনই এক ‘ম্যাজিক চাল’ বাজারে এসেছে।এই চাল রান্না করার প্রয়োজনই পড়ে না, “শুধু ভেজান আর খেতে শুরু করে দিন”। এটি কোনো গল্প নয় সত্যি ঘটনা।শুধুমাত্র ঠাণ্ডা জলে ১ ঘন্টা ভেজালেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু ভাত।বিহারের এক কৃষক এই চাল চাষ করে মোটা টাকা মুনাফা পাচ্ছে।ওই কৃষকের নাম বিজয় গিরি।এর আগে এই চাল শুধুমাত্র আসামের ব্রহ্মপুত্র নীর তীরে উৎপাদন হত। অসমের ঐতিহ্যবাহী উৎসব, মাঘ বিহুর এটিই হল অন্যতম খাদ্য।এই চাল ভৌগলিক লাভ শুরু ২০১৮ সালে। এই ধরনের বিশেষত্বের জন্য এই চালকে “কোমল রাইস”বা “জাদুর রাইস”বলা হয়ে থাকে।
বিজয় গিরিই প্রথম তার গ্রামে এই চাল চাষ করার উদ্যোগ নেন।বছর খানেক আগে এই কৃষক পশ্চিমবঙ্গের এক কৃষি মেলার এসে এই চাল সম্পর্কে জানতে পারেন।তারপর তার সেই ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য নিজের এক একর জমি নিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন তিনি।ম্যাজিক চালের চাষ কেউ চাইলেই করতে পারে।এই চাষের ফলন ভালই হয়।এই চাষের জন্য কোন রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় না।এই ফলন সাধারণ ধানের ফসলের মতো একই।তাছাড়া এই ফসল মোটামুটি ১৫০ থেকে ১৬০ দিনের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। আর বাজারে এর কদরও ভাল, কেজি প্রতি চাল ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
এই ম্যাজিক চাল পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ এবং সুগার ফ্রি।তাছাড়া ম্যাজিক চালের মধ্যে থাকে অনেক পরিমানে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন। ফলে পুষ্টি গুনের সঙ্গে আপোসের কোন সম্ভবনা নেই।এই চাল বেশি উৎপাদন করতে পারলে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন কৃষকরা।নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই এই ম্যাজিক চাল নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছে।