National Education Policy – বেশ অনেকদিন ধরে এই রাজ্যে স্কুল গুলিতে চলছিল গরমের ছুটি। এর ফলে স্কুলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে সিলেবাস। তাই এবারের স্কুল এবং শিক্ষকদের কে জোর কদমে লাগতে হবে সিলেবাস গুলি শেষ করানোর জন্য। তার জন্য এবার থেকে যাতে শিক্ষকরা কোনমতে ফাঁকি না মারতে পারে সেই দিকে তৎপর সরকার।
কোন স্কুল শিক্ষক বর্তমানে আর টিফিন পিরিয়ডও স্কুলের বাইরে যেতে পারবেন না তাকে স্কুলের বাইরে যেতে হলো প্রধান শিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের ক্লাসের মধ্যে মোবাইল ফোন একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ম না পশ্চিমবঙ্গে দেখাদেখি পশ্চিমবঙ্গের আশেপাশের রাজ্যও এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগেই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস সরকার। ক্ষমতায় আসার পর পরই তারা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন। তাদের রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে National Education Policy 2023 নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল তারা। তাদের রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি কি করে উন্নত থেকে উন্নততর করা যায় সেই লক্ষ্যে রয়েছে কর্ণাটক সরকার।
অনেক সময় শিক্ষকদের দেখা যায় তারা মোটা অংকের মাইনে নিলেও তারা ঠিকঠাক মতো ক্লাস করায় না অনেক সময় স্কুলে আসেন না স্কুলে এলেও নির্ধারিত সময় অনেক পরে স্কুলে আসেন এবং নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলনে ও তারা জড়িয়ে থাকেন। কর্নাটকের সরকার মনে করছে এজন্য তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার National Education Policy নিয়ে নড়ে চড়ে বসছেন তারা।
এর জন্য কর্ণাটক সরকার এবারে তাদের শিক্ষকদের ওপর বেশ কিছু পদক্ষেপ (National Education Policy) নিয়েছে সেই পদক্ষেপ গুলি হল। সমস্ত স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের এবারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে এবং স্কুলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ব্লক শিক্ষা অধিকর্তাকে হোয়াটসঅ্যাপে তার লাইভ লোকেশন শেয়ার করতে হবে। স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকা কোথাও যাচ্ছেন কিনা তার ওপর নজর রাখবে ব্লক শিক্ষা অধিকর্তা।
যদিও ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের গুলবর্গা ব্লকের শিক্ষা অধিকর্তা এই নিয়ম (National Education Policy) তার এরিয়ার ২০৭ টি স্কুলকে নিয়ে শুরু করেছেন। তবে এখনো অব্দি এই নিয়মকে বাধ্যতামূলক করেননি তারা। কিন্তু কর্ণাটক সরকার এবারে এই জিনিসটিকে বাধ্যতামূলক করবে এবং রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুলে এই নিয়ম মেনেই চলতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
এছাড়া স্কুল শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেকদিন প্রার্থনা সভা হবে যেই প্রার্থনা সভায় দেশের জাতীয় সংগীত ,কর্নাটকের নিজস্ব প্রার্থনা সংগীত গাইতে হবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানের মূল প্রস্তাবনা পাঠ করতে হবে। তারপরেই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস শুরু হবে। এবং এই পুরো সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রত্যেকটি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের সরকার।
যাতে কর্নাটকে শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত হয় তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঠিক হতে হবে এবং যাতে শিক্ষক শিক্ষিকারা ফাঁকি না মারতে পারে তার জন্যই এমন এক করা পদক্ষেপ নিল কর্নাটকের সরকার।
আরও পড়ুন – Madhyamik Scrutiny Result – মাধ্যমিক পরীক্ষার রিভিউয়ের ফলাফল, দেখুন নতুন নম্বার।