ওমিক্রন ঠেকাতে পুনরায় লকডাউন ! ১৯ ডিসেম্বর থেকেই ‘ক্রিসমাস লকডাউন’ ঘোষণা করল নেদারল্যান্ড

গত বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাস শুরু হয়েছিল।আর এবার বিশ্বজুড়ে ত্রাস
সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের করাল থাবা দিন দিন বেড়েই চলছে।এই নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় পুনরায় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করল নেদারল্যান্ড।ওমিক্রন-আতঙ্কে ১৯ ডিসেম্বর থেকেই ‘ক্রিসমাস লকডাউন’ ঘোষণা করল নেদারল্যান্ড।সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিও বড়দিন উৎসবের সময় কড়া বিধি-নিষেধ জারি করতে চলেছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) প্রধান উরসুলা ভোন ডের লিয়ান সতর্কবার্তা দিয়েছেন জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপে ‘ওমিক্রন’ ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
তাই ঝুঁকি এড়াতে ও সংক্রমণ ঠেকাতে বড়দিন ও বর্ষবরণ উৎসবের মরশুমে কড়া বিধি নিষেধ জারি করতে চলেছে নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি সহ ইউরোপের দেশগুলি।শনিবারই নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ঘোষণা করেছেন, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ প্রয়োজনীয় নয় এরকম সমস্ত দোকান, সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক স্থান বন্ধ থাকবে।এমনকি বড়দিন উৎসব উপলক্ষ্যে অফিস ও বাড়িতে অতিথির সংখ্যাও বেঁধে দিয়েছে। যদিও স্কুল বন্ধ থাকবে অন্তত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।সবাইকে এই বিধিনিষেধ বাধ্যতামূলক হিসেবে মানতে হবে।তবে কেবল বিধি-নিষেধ আরোপ করলে চলবে না, ভ্যাকসিন নেওয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাও জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েকদিন ধরেই লন্ডনে এই মারণ ভাইরাস তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলার ঘটনাকে ‘বড় ঘটনা’ ও ‘গুরুতর উদ্বেগ বলে ঘোষণা করেছে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।বিশ্বের দেশে দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নতুন এ ভ্যারিয়েন্টটি ৭৭টি দেশে ছড়িয়েছে। করোনার যে কোনো প্রজাতির চেয়ে এটি দ্রুত হারে মানুষকে সংক্রমিত করছে। সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব দেশকে সতর্ক হতে বলছেন।