গবেষণায় নতুন আশার আলো, ছোঁবে না বার্ধক্য, টিকা নিলেই অটুট থাকবে যৌবন !

নিউজ ডেস্কঃ যৌবনটা যেন চিরজীবন থেকে যায় মনে মনে সেই ইচ্ছা নিয়েই রোজ আয়নার সামেন দাড়ায় প্রতিটি মানুষ।এমন কাউকেই হয়ত পাওয়া যাবে না যে, যৌবন রেখে বার্ধক্যকে পছন্দ করে। সবাই চির যৌবনা ও চির নতুন থাকতে চায়। কিন্তু বয়স কালের নিয়মে বাড়তেই থাকবে, এটা চিরন্তন সত্য।বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।সময়ের সাথে সাথে একদিন আমরা সবাই বার্ধক্যে পৌঁছাব।কিন্তু এই বার্ধক্য রুখতে সকলেই আপ্রাণ চেষ্টা করে কেউ দামি মেক আপ করে, কেউ যোগাভ্যাস করে আবার কেউ পুষ্টিকর খাবার খায়।কিন্তু এখনও বয়সকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় বেঁধে রাখার মতো অস্ত্র সাধারণ মানুষের হাতে আসেনি।তবে সম্প্রতি আশার আলো দেখাল নতুন এক গবেষণা।
সম্প্রতি ‘নেচার এজিং জার্নাল’-এ একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হচ্ছে, ইঁদুরের উপর একটি বিশেষ পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। টিকাগ্রহণের পর ইঁদুরটির বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমেছে এবং আয়ুও বেড়েছে।জানা গিয়েছে ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে অ্যান্টি এজিং ভ্যাকসিন ভালো ফলাফল দেখিয়েছে। কী বলছেন গবেষকরা? জেনে নিন বিস্তারিত…
এই টিকা কি করে বার্ধক্য রুখে দিচ্ছেঃ-
এই গবেষণাটি চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এজিং।শুধুমাত্র ইঁদুরের উপরেই পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এই টিকা। এই টিকা গ্রহণের পর ইঁদুরটির বুড়ো বা প্রবীণ হওয়া কোষগুলি সরে গিয়েছে এবং ইঁদুরটির আয়ুও বেড়েছে। আর সবথেকে বড় বিষয় হল ইঁদুরটি বার্ধক্যজনিত সমস্ত রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে।মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল রবিন্স বলেন, আমাদের কাছে টিকার কার্যকরিতার জন্য যথেষ্ট সংযত প্রমাণ রয়েছে।কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে ইঁদুরের উপর চালানো এই গবেষণা কি মানুষের উপর আদৌ কাজ করবে।
অন্যদিকে জাপানের মিনামিনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক তারু মিনামিনো সম্প্রতি দাবি করেছেন, জম্বি সেলকে ধ্বংস করার মতো একটি ভ্যাকসিন তাঁরা তৈরি করেছে। যা বার্ধক্যজনিত রোগ ধ্বংস করে দেয় বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।তাদের এই টিকা নিয়ে আশাবাদী মিনামিনো বলেন, আমরা আশা করতে পারি এই ভ্যাকসিন কাজ করবে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেবে।
এই জম্বি সেল কী দেখে নিনঃ-
এই জম্বি সেলের জন্যই কোনও ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভোগেন।এই জম্বি সেলগুলিকে সেনেসেন্ট কোষও বলে।এই টিকা কোনও ব্যক্তিকে বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেওয়া এই সেলটিই ধ্বংস হয়ে যায়।দীর্ঘ দিন ধরে এই জম্বি সেলগুলিকে যাতে দূর করা যায় সেজন্য একাধিক গবেষণা চালানো হচ্ছিল। কোটি কোটি টাকা খরচও করা হচ্ছে এই গবেষণার জন্য।যুগোস্লাডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ইনস্টিটিউট ফর এজিং রিসার্চের ডিরেক্তর নির বারজিলাই জানিয়েছেন, বয়সকে জয় করার লক্ষ্যে তাদের এই গবেষণায় বহু মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।তবে এখন এটাই দেখার সাধারণ মানুষ শেষ পর্যন্ত কি বয়সকে জয় করতে পারবে।