তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি! শিক্ষককে স্কুলে আটকে অভিভাবকরা বেধড়ক পেটালেন

রক্ষকই ভক্ষক তা আবারও প্রমাণিত হল। তৃতীয় শ্রেণির এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে।আজ সকালেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাঁকুড়া। তৃতীয় শ্রেণির এই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ার রঘুনাথপুর।
স্থানীয় সূত্রে খবর মঙ্গলবার কোতুলপুরের ডিঙ্গেরবন রঘুনাথপুর প্রাথমিক স্কুলে অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে মিড ডে মিলের বরাদ্দ চাল আনতে যায় তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী। চাল দেওয়ার পর অন্য ছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলেও ওই ছাত্রীকে স্কুলে আটকে রাখেন শিক্ষক মুরারী মোহন মণ্ডল। এরপর ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি তার শ্লীলতাহানিও করা হয়।এমনকি তার পোশাক ছিঁড়ে দেয় বলেও অভিযোগ।
নাবালিকা ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে। প্রথমে কান্নাকাটির কারণ জানতে চায় তার মা।তারপর চাপের মুখে পরে প্রাথমিক শিক্ষকের এই আচরণের কথা মাকে জানায় সে।বুধবার সকালেই নাবালিকার পরিবারের লোকজন স্কুলের সামনে পৌঁছে যান। অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে।ওই শিক্ষক স্কুলে এলে তাঁকে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা।
ওই শিক্ষকের বাইকও ভাঙচুর করা হয়।খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোতুলপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। পুলিসও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে।শেষে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।পুরো ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে রঘুনাথপুর এলাকায়।
এ বিষয়ে কোতুলপুর থানার ওসি জানান এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষ্ণুপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকও এই বিষয়ে বিশেষ কিছুই বলেননি। তিনি শুধুমাত্র জানান, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সেই অনুযায়ী তদন্তও শুরু হয়েছে। আহত প্রাথমিক শিক্ষকের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।