Primary TET Scam – রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary TET Scam) কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যত দিন যাচ্ছে ততই নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে তদন্তে। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে একের পর এক কেউটে বেরিয়ে আসছে। গোটা বাংলা জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে। টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে রয়েছে।
আবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) কাণ্ডে এক বিরাট খবর সামনে এল। পর্ষদ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তের সূত্রেই ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছিল। সিবিআই ফাইল চেয়ে পাঠাতেই শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিল পর্ষদ থেকে উধাও হয়ে গেছে নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরি ফাইল। রহস্যজনক ভাবে ফাইল উধাও হওয়ার ঘটনায় সিবিআই তাজ্জব হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন – তবে কি পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ হচ্ছে? রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন আনতে হবে !
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় একাধিক জন গ্রেফতার হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে সিবিআই তদন্তের জন্যও ডেকেছেন। কার নির্দেশে এরকম বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হত তার হদিস পেতে চাইছে সিবিআই। সেকারণেই সিবিআই এবার নথি ও ফাইল খতিয়ে দেখতে চাইছে। তদন্তের কারনেই সিবিআই নোটিস দিয়ে শিক্ষা দফতর বা পর্ষদের কাছ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছিল।
পর্ষদ সিবিআই-কে জানিয়েছে যে সেই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কয়েক মাস ধরেই সেই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পর্ষদ। তাই গুরুত্বপূর্ণ ওই ফাইল সিবিআইকে দিতে পারবে না পর্ষদ। সিবিআইকে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ২০২২ সালেই ওই ফাইল নিখোঁজের বিষয়টি তাদের চোখে পড়ে। তারপরেই এই নিখোঁজ ফাইলের ব্যাপারে বিধাননগর থানায় মিসিং অভিযোগও দায়ের করেছেন পর্ষদ। একটি জেনারেল ডায়েরির কপিও পর্ষদ সিবিআই-কে পাঠিয়েছে।
ফাইল হারানোর ঘটনায় সিবিআই রীতিমত তাজ্জব। অথচ মিসিং হওয়া এই বিশেষ ফাইল তদন্তর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় এবার শিক্ষা দফতরের থেকে মিসিং ফাইলের রহস্যর খোঁজ পেতে চাইছে সিবিআই। ফাইল উধাও হল কীভাবে? সেই ফাইল গেলই বা কোথায়? এবার সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এর উত্তর খুঁজছেন।