
দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি হলেন রতন টাটা। তবে আর পাঁচ জন শিল্পপতির মতো ঠাটবাট নেই। অত্যন্ত সাদামাঠা জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই বর্ষীয়ান শিল্পপতি কিন্তু অত্যন্ত জনদরদীও বটে। তাঁর জীবনধারায় নেই কোনও চাকচিক্য, জৌলুস।তাঁর উপার্জনের একটা বড় অংশ একাধিক ট্রাস্টে প্রদান করার পাশাপাশি মহামারী হোক কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রতিটিক্ষেত্রেই কার্যত তিনি ব্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।স্বাভাবিকভাবেই চাকচিক্যহীন এই শিল্পপতির বিনম্র স্বভাব খুব সহজেই জয় করে নিয়েছে সকলের মন।
টাটা গ্রুপ বহুবছর ধরে বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছে তা আমরা সকলেই জানি। আর এই কাজে রয়েছে রতন টাটার নেতৃত্ব।সম্প্রতি নেটমাধ্যমে রতন টাটার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কোনও বিলাসবহুল গাড়িতে নয়, টাটা ন্যানোয় চড়েই মুম্বইয়ের নামী তাজ হোটেলে নৈশভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন ভারতের এই বর্ষীয়ান শিল্পপতি। শুধু তাই নয়, শিল্পপতির সঙ্গে দেখা যায়নি কোনও নিরাপত্তারক্ষীকেও।অর্থাৎ, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই তিনি পৌঁছেছেন সেখানে।
দেশের অন্যতম সফল শিল্পপতির এহেন আচরণ খুব সহজেই মন জয় করে নিয়েছে সকলের। পাশাপাশি তাঁর সাধারণ জীবনযাপনকে কুর্ণিশও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এছাড়াও অনেকে নেটনাগরিকরা নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন ‘মানবতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন রতন টাটা,তাঁকে প্রণাম জানাই’। আবার আরেকজন লিখেছেন ‘ন্যানো গাড়ি মধ্যবিত্তের কাছে এক আশীর্বাদ ছিল। রতন টাটা মধ্যবিত্তকে যে উপহার দিয়েছিলেন, তাতে আমরা সবাই অত্যন্ত গর্বিত’।
View this post on Instagram
আমাদের দেশের অন্যতম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা হল টাটা মোটরস। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সংস্থা নিত্য নতুন সব গাড়ি নিয়ে আসে। যদিও টাটা গ্রুপের সর্বেসর্বা হয়েও রতন টাটার আজও পছন্দের গাড়ির তালিকায় রয়েছে ন্যানো। মূলত দেশের মধ্যবিত্ত মানুষদের কথা মাথায় রেখেই এই গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি।যদিও, ২০১৮ সালে বাজার থেকে ন্যানো গাড়ি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাটা সংস্থা বিক্রিতে ভাটা দেখা দিয়েছিল বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাটা সংস্থা।
তবে সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রামের পোস্টে এই ন্যানো গাড়ি নিয়েই আবেগঘন হতে দেখা গিয়েছে রতন টাটাকে। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, মধ্যবিত্ত ভারতীয়দের আমি স্কুটারেই যাতায়াত করতে দেখতাম। পিছল রাস্তায় বাবা-মায়ের মাঝে বসে প্রায় চেপ্টে যেতে দেখতাম শিশুদের। আর সেখান থেকেই টাটা ন্যানো তৈরির ভাবনা আসে আমাদের মাথায়।স্কুটারের কাছাকাছি দামেই মধ্যবিত্তের হাতে চারচাকা গাড়ি তুলে দেওয়াই মূল ভাবনা ছিল”।