Rice Prices – বাজারে গিয়ে যে কোনো জিনিস কিনতে গিয়ে হাত লাগালে যেন আগুনের ছ্যাঁকা লাগছে। দিনের পর দিন বাজারদর একেবারে লাগামছাড়া। জেট গতিতে বেড়ে চলেছে শাকসবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের দাম। দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের দিন যাপন কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। একদিকে বাজার দর লাগামছাড়া, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রান্নার গ্যাস ঊর্ধ্বমুখী, সাধারণ মানুষ ডাল ভাত জোটানোর জন্য দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে।
কিন্তু এখন আর ডাল ভাত কোনো সাধারণ কম দামের খাদ্য তালিকার মধ্যে পড়ছে না। তারা কারণ, বাজারের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধি। এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে যে খবর সামনে আসছে তা আরো ভয়াবহ। কি সেই খবর? জানা যাচ্ছে, চালের দাম (Rice Prices) অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে (Rice to get Costlier) যেখানে সাধারণ মানুষ ভাত জোটানোর জন্য চরম সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের মধ্যে এশিয়ার কয়েকটি দেশ মূলত চাল রপ্তানি করে।
আরও পড়ুন – Business ideas – ব্যবসা আপনার টাকা দেবে সরকার, এই ব্যবসা করে মাসে আয় করুন লক্ষাধিক টাকা।
ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চীন এবং থাইল্যান্ড। সারা বিশ্বে যত চাল রপ্তানি হয় তার ৪০ শতাংশ যায় ভারত থেকে। এবার ভারতেই চাল উৎপাদন আগের তুলনায় যথেষ্ট কম হয়েছে। ফলন কম হওয়ার কারণে রপ্তানিও স্বাভাবিকভাবেই কমে গিয়েছে। আর এর ফলে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে যেতে চলেছে চালের মূল্য।
দেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্টে (Yearly Financial Report) বলা হয়েছে, এল নিনো আবহাওয়ার পরিস্থিতির কারণে ভারতবর্ষে চাল উৎপাদন কমছে।
এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বেই এল নিনো পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে। যার ফলে চালের দাম গত 11 বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে গিয়েছে। এই বিষয়ে রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত থেকেই সবচেয়ে বেশি চাল রপ্তানি করা হয়। সেখানে যেহেতু ভারতে সহায়ক মূল্য বেড়েছে, তাই অন্যান্যরাও দাম বৃদ্ধি করছে।
প্রসঙ্গত, সরকার কৃষকদের সহায়ক মূল্য ৭% বাড়িয়েছে। ফলে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকদের এই সহায়ক মূল্য। আর এর পরেই ভারত থেকে সর্বোচ্চ দামে চাল রপ্তানি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত এবং চীন দুটো দেশ, যাদের চালের মজুত ভাড়ার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তাদের চালের ফলন কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে চালের ভাড়ারে টান পড়তে চলেছে। ১৭০.২ মিলিয়ন টনে মজুত চালের ভাড়ার নেমে আসতে পারে। গত ৬ বছরের মধ্যে চালের মজুতের পরিমাণ এত কম এর আগে হয়নি।
এর কারণ হিসেবে এল নিনো আবহাওয়ার পরিস্থিতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তরফেও একাধিক বার বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের বপন করা ধানের ফলন আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম হয়েছে। এবার ৮% কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের ফলন কমে গিয়েছে। যার ফলে বিশ্ববাজারেও চালের রপ্তানির পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। আর সেই কারণে দাম (Rice Prices) স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ওলাম ইন্ডিয়ার রাইস বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, চালের দাম (Rice Prices) আরো বাড়তে পারে। সীমিত সরবরাহের কারণেই চালের দাম (Rice Prices) বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বজুড়েই এল নিনো আবহাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আর এটি এতটাই সমস্যাজনক পর্যায় তৈরি করেছে যে, চালের ফলন আগের তুলনায় কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, আগামী দিনে চালের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
যা এককথায় রীতিমতো ভয়াবহ বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ফসল উঠলেও চালের দাম (Rice Prices)আদৌ কমবে কিনা তা নিয়েই যথেষ্ট ধন্দ তৈরি হয়েছে। ফলে যখন বাজারে গিয়ে সাধারণ সবজি থেকে শুরু করে লঙ্কা, টমেটো, আদা সহ একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম একেবারে ঊর্ধ্বমুখী, সেই সময়ে চালের দাম নিয়ে এই খবর যথেষ্টই আশঙ্কিত করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন – Unnati Scholarship -এ আবেদন করলেই মিলবে ২৫ হাজার টাকা দেখুন কি কি ডকুমেন্ট লাগবে।