রক্তে ভাসল ছােট্ট শরীর, খাবারের লোভ দেখিয়ে মাত্র ৬ বছরের নাতনিকে নির্মম গণধর্ষণ করল নিজের দাদু এবং কাকা

আবারও চরমতম পাশবিক ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ।খাবারের লােভ দেখিয়ে মাত্র ৬ বছরের নাতনিকে নির্মম গণধর্ষণ করল নিজের পঞ্চাশ বছর বয়সী দাদু (মায়ের বাবা)এবং কাকা।ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভােপালের কোলার এলাকায়।আর এই ঘটনার কথা প্রকাশ হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ।কী করে মানুষ এতটা নীচে নামছে, তা নিয়ে ঝড় উঠেছে সর্বএ।
ছােট্ট মেয়ের মা পুলিশকে জানিয়েছেন, দিন কয়েক ধরেই মেয়ের আচরণে অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করছিলেন।সে ভাল করে কথা বলছিল না কারও সঙ্গে, ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিল না। কেমন যেন মনমরা হয়ে ছিল।জামা পরাতে বা খেলাতে গেলে ভয়ে সিটিয়ে যাচ্ছিল। আচমকা এই পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয়েছিল তাঁর।এরপরেই তিনি মেয়েকে বার বার প্রশ্ন করেন কেন সে এমন করছেন পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনার কথা জানায় সে।সপ্তাহখানেক আগে কেমনভাবে দাদু এবং কাকা মিলে খাবারের লোভ দেখিয়ে তাঁর ওপর অত্যাচার করেছে সেই সব কথা খুলে বলে।
এই ঘটনার কথা জানার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন শিশুকন্যার বাবা-মা।দাদু এবং কাকার বিরুদ্ধে থানায় গণধর্ষণের অভিযােগ দায়ের করে।এরপরেই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় দুই গুনধর দাদু এবং কাকা সঞ্জয়কে।পুলিশ জানিয়েছে শিশুটি তার মাকে জানায়, দিন কয়েক আগে কাকা তাকে এবং ভাইকে সিঙারা খাওয়ানাের জন্য নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়।কিন্তু খাবার দেওয়ার বদলে দরজা বন্ধ করে ভাইয়ের সামনে তার ওপর অত্যাচার চালায় দু’জনে মিলে।কিছুক্ষণের মধ্যে ছােট্ট শরীর রক্তে ভেসে গেলে দুই ভাই-বােনকে সিঙারা কিনে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তেরা। আর মুখ বন্ধ রাখার জন্য ২০ টাকার পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়।
তাই দাদু-কাকার ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি দু’জনের কেউ। কিন্তু মেয়ে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়ায় ধরে ফেলেন মা। তারপরেই সামনে আসে আসল সত্য।শিশুটির বাবা ও মা পেশায় মজুর। তাঁরা কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে ভয়ঙ্কর এই কাণ্ড ঘটায় তারা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির ধৃত দাদু এবং কাকা দুজনেই পেশায় মজুর এবং মাদকাসক্ত।নিয়মিত মদ্যপান করেন দুজনেই এবং সেদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি।অভিযুক্ত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে পকসাে আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।