Snake viral video: এক কিশোরীর কানে ঢুকল আস্ত সাপ,তারপর কী হল দেখুন, ভাইরাল ভিডিও !
এক কিশোরীর কানে ঢুকল আস্ত সাপ,তারপর কী হল দেখুন

Snake viral video: বর্তমান যুগ হল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ।এককথায় পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। কথাটি সত্যি,কারন পৃথিবীর যে কোন ঘটনা এখন আমরা নিমেষেই জেনে যাই। আর সেটা জানা সম্ভব হয় স্মার্টফোনের দৌলতে।বর্তমানে আমাদের সকলের জীবনের সঙ্গে স্মার্টফোন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে মানুষ এখন স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল।
অফিসের কাজ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজকর্ম, প্রায় সব কিছুতেই এখন স্মার্টফোন আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। শিশু থেকে বয়স্ক, প্রায় প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবদ্ধ। এখন অধিকাংশ মানুষেরই দিনের অর্ধেকের বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কেটে যায়।
আর বিশেষ করে লকডাউনের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের একমাত্র জীবন যাত্রার মাধ্যম হয়ে উঠে ছিল। এর সাহায্যেই বিশ্ব জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা থমকে না থেকে এগিয়ে চলেছে। এমনকি সকলের কর্মজীবন সচল রাখা সম্ভব হয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। এর পাশাপাশি মহামারীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করা সম্ভব হয়েছে এবং পরিবারের ও নিজের যত্ন কিভাবে নিতে হবে এসব যাবতীয় তথ্য দিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ভিডিও ভাইরাল’ এই কথাটা আজকাল প্রায় রোজই শোনা যায়। প্রতিদিনই একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে কত কিনা ভাইরাল হচ্ছে। ইন্সটা রিল থেকে শুরু করে ইউটিউব ভিডিও। এর সাহায্য আমরা সকলে যেমন সামাজিক যোগাযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, তার পাশপাশি এমন বহু জিনিস দেখছি বা জানছি যা হয়তো এই সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হত না।
সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে আমরা এখনও পর্যন্ত কত কিছুর বিষয়ে যে জানতে পেরেছি তা হয়ত বলে শেষ করা যাবে না।তারকা থেকে বিজনেসম্যান,পরিচালক থেকে গায়ক, সাধারণ মানুষের নানা ভিডিও এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Snake viral video) হয়। এই ভিডিওগুলি যত বেশি হবে ছড়িয়ে পড়বে ততই পকেট ভরে। পাশাপাশি তিনিও সকলের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
ভাইরাল হওয়া কোন কোন ভিডিও যেমন হাসায়, আবার কোনটা কাঁদায়, আবার কিছু ভিডিও নির্ভেজাল আনন্দ দেয়। আবার কিছু কিছু ভিডিও দেখে অনেকে অবাক হয়ে যায়। অনেক ভিডিও নিজের চোখে দেখেও তা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই বিশ্বে সত্যি অনেক আজব ঘটনাই ঘটে। সম্প্রতি এমনি এক হাড়হিম করা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে সকলের মনে হবে এমন কিছুও যে ঘটতে পারে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
আসলে অনেক সময় মানুষের সঙ্গে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা সহজে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। তেমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে আপনিও শিউরে উঠতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পশু পাখি নানা ভিডিও ভাইরাল হয়। সেগুলির কোনটা হয়ত সাপের ভিডিও অথবা কোন পশু পাখির ভিডিও। কিন্তু সম্প্রতি এমিন এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে,তা যে কোনো ভালো মানুষের অবস্থা খারাপ করে দিতে পারে।
এক কিশোরী মেয়ের কানে ঢুকে গেছে আস্ত সাপ। হ্যা ঠিকি শুনছেন,অবাক হওয়ার কিছু নেই।এক কিশোরী দিব্বি ঘুমিয়ে ছিলেন, হঠাৎই তার কানের মধ্যে সাপ ঢুকে পড়ে। আচমকা এমন ঘটনায় তার ঘুম ভেঙে যায়। যন্ত্রণায় ছটছট করতে থাকেন তিনি। তাই কিশোরীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক ওই কিশোরীর কানের মধ্যে থেকে সাপ বের করতে একপ্রকার হিমশিম খাচ্ছেন।এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কানের ভেতর থেকে সাপটি তার মাথা আর লকলকে চেরা জিভ বাইরে আনছে। মেয়েটির এমন অবস্থা থেকে হাড়হিম হয়ে যায় ডাক্তারদেরও। সামান্য ভুলে বড় বিপদ হতে পারে। কারণ কারণ কানে ঢুকে পড়া সাপটি খুব বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। তার লেজ ছিল ভেতরের দিকে। মাথা বেরিয়ে এসেছিল বাইরে।
সাপটিকে জোরে টানাটানি করতে গেলে লেজের ছটফটানিতে মেয়ের কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। আবার যদি সাপটি ভয় পেয়ে কোনওভাবে দাত বসিয়ে দেয়, তাহলেই বিপদ। তাই সাবধানে সাপটিকে টেনে বের করার চেষ্টা করছেন ডাক্তাররা।ভিডিওতে দেখা গেছে, কানের ভেতর ওষুধ দিচ্ছেন ডাক্তার।তার সাথে সাথে চিমটে দিয়ে সাপটির মাথা ধীরে ধীরে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা শিউরে উঠেছেন। এই ভিডিওটিতে লাইক ও কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। কেউ চিকিৎসককে কটাক্ষ করে লিখেছেন ‘সাপ বের করছেন, নাকি সাপের দাঁত গুনছেন!আবার কারোর প্রশ্ন, ‘সাপটা ঢুকলো কীভাবে, ওর মুখ তো বাইরের দিকে রয়েছে, তাহলে লেজের দিক থেকে কীভাবে ঢুকলো? আবার কারোর বিস্মিত প্রশ্ন, ‘এটা কি সত্যি ঘটনা!
অনেক নেটিজেনরা আবার ডাক্তারদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সাপটিকে কীভাবে বের করা হল সেটা আর ভিডিওতে দেখা যায়নি। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এই ভিডিওটা আসলে ভুয়ো, ভিউ বাড়ানোর জন্য ভিডিওটি করা হয়েছে। আবার অনেকে বলেছেন ডাক্তাররা সত্যিই চেষ্টা করে মেয়েটিকে বাঁচিয়েছেন।