গোয়ালে বসে পড়াশোনা করে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট রাজস্থানের সোনাল শর্মা

উদয়পুরঃ উদয়পুরের সোনাল শর্মা। গোয়াল ঘরে বসেই কাটতো সারাটা দিন।গোয়াল ঘরে তীব্র গোবরের গন্ধ,গোরুর ডাক কোনকিছুই সোনালকে বিব্রত করতে পারেনি।এককোণে বসে একমনে পড়াশোনা করতেন তিনি।স্বপ্ন দেখতেন বিচারক হবেন।
আর তাই জুডিসিয়ারি পরিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।দেশের আইন কানুন নিজের হাতেই রক্ষা করবেন তিনি এমনটাই লক্ষ্য ছিলো তার।তবে বাবা দুধওয়ালা হওয়ার কারণে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ছিলোনা পরিবারের। এই কারনে তিনি নিজের জন্য টিউশনও নিতে পারেননি।একা দিন রাত পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন।অবশেষে প্রথম চেষ্টাতেই জুডিসিয়াল পরিক্ষায় সফল হয়ে বিচারকের পদে বসতে চলেছেন তিনি।
রোজ সকালে উঠে বাবাকে কাজে সাহায্য করতো সোনাল।এরপর সাইকেল চালিয়ে সোজা ইউনিভার্সিটি পৌঁছে যেত। সময়ের আগে পৌঁছে গিয়ে লাইব্রেরিতে বই নিয়ে পড়তে বসতেন সোনাল। তিনি বলেছেন,”অনেক সময় পায়ের জুতোয় গোবর লেগে থাকতো,শরীর থেকে বেরোতো গোবরের গন্ধ তা দেখে বান্ধবীরা দুরে সরে বসতো।তখন একটু লজ্জা লাগতো কিন্তু এখন গর্ববোধ হয় আমি দুধওয়ালার মেয়ে বলে।”
সোনালের বয়স ২৬ বছর আর এই বয়সেই তিনি বিএ,এল.এল.বি,এল.এল.এম এর মতো পরিক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে পাশ পাশ করেছেন। একবছর ট্রেনিং নেওয়ার পর তিনি রাজস্থানের জুডিশিয়াল পরিক্ষায় বসেন।তবে দূর্ভাগ্যবসত মাত্র ১ নম্বরের জন্য প্রথম লিস্টে নাম আসেনি তার।
তবে ইন্টারভিউয়ে কয়েকজন পরিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় সোনালের ডাক পড়ে।মেধার পরিচয় দিয়ে ইন্টারভিউয়ে সফল হন তিনি।আর কিছুদিন বাদেই প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজে যোগ দেবেন সোনাল। বলা বাহুল্য এতে ভীষণ খুশি তার পরিবারের লোকজন।আর সোনাল খুশি কারণ এতদিনের কষ্টের ফল হিসেবে তার এই সাফল্য।