
ফের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সোনু সুদ।বিমানবন্দর নেই, ঝাঁসি থেকে করোনা আক্রান্তকে এয়ারলিফ্ট করালেন সোনু। করোনা আক্রান্ত ঝাঁসির বাসিন্দা কৈলাস অগ্রবাল।সেখানকার হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য আরও উন্নত পরিকাঠামো প্রয়োজন তাঁর। অর্থাৎ বড় হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে।কিন্তু কৈলাসের পরিবার অনেক হাসপাতাল ঘুরেও খালি পাননি কোনও বেড। স্থানীয় এমএলএর কাছে গিয়েও কোনও ফল হয়নি।এরপরেই ট্যুইটারের মাধ্যমে সোনু সুদের দ্বারস্থ হল তাঁরা। আবেদনের কথা সোনুর কাছে পৌঁছলে, তিনি খবর নিয়ে জানতে পারেন, রোগীর অবস্থা সংকটজনক।
তখনই তিনি হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে ওই রোগীর জন্য আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করেন।কিন্তু
সংকটজনক রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এতটা রাস্তা নিয়ে আসা অসম্ভব। তাউ উপায় একমাত্র এয়ারলিফট। সমস্যা হল গোটা ঝাঁসিতে কোথাও বিমানবন্দর নেই।তবুও সোনুর টিম ঝাঁসিতেই পৌঁছে গিয়েছিল।তাঁরাই গোয়ালিয়র নিয়ে যায় ওই রোগীকে।তবে সব জায়গা থেকে অনুমতি নিয়ে, নিয়ম মেনেও কতটা তাড়াতাড়ি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় এটাই সবচেয়ে সমস্যার কাজ ছিল বলে জানায় সোনু।
কৈলাস অগ্রবাল আপাতত অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর সুস্থতা কামনায় ট্যুইটও করেছেন সোনু।তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও ২৫ বছরের কোভিড আক্রান্তেরও রক্ষাকর্তা হয়েছিলেন সোনু।করোনা ভাইরাস নষ্ট করে দিয়েছিল ভারতীর ফুসফুসের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ।সোনুর সাহায্য নিয়েই নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভারতীর ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অসম্ভব এখানে,তাই তাঁকে হায়দরাবাদ নিয়ে যেতে বলে।এরপর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ভারতীকে নিয়ে যাওয়া হয় হায়দরাবাদে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ভারতী।