দোল উৎসবে মমতার মমতাময়ী আচরণ,রাজ্যের বিভিন্ন জেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৪৫ বন্দিকে মুক্তি দিল রাজ্য

নিউজ দেস্কঃ রঙের উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মেতে ওঠেন। এই উৎসবে মানুষ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। রঙিন রঙ মেখে মানুষ জীবনের সকল কষ্টকে মুছে দেন।এই দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারের আবাসিক ১৪৫ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে নিশর্ত মুক্তি দিল রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মহিলাও আছে।যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বলতে আজীবন জেল জীবন বোঝায়। কিন্তু ১৪ বছর জেলে কাটানোর পর মুক্তি দেওয়ার বিধানও আছে।
সরকারের একটি কমিটি জেলে বন্দির আচরণ, শরীর-স্বাস্থ্য, বয়স এবং জেলে থাকার মেয়াদ বিবেচনা করে মুক্তি দেওয়ায় বিষয়ে সুপারিশ করে থাকে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে কারা ও স্বরাষ্ট্র দফতর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।স্থানীয় পুলিশ ও থানার রিপোর্টের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির বিষয়ে আরও একটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। বন্দি ছাড়া পাওয়ার পর ফের অপরাধ করতে পারেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়।এছাড়াও সমাজ তাঁকে গ্রহণ করবে কিনা সেটাও দেখা হয়। বন্দি পুরাতন কোনও শত্রুতার জন্য আক্রান্ত হতে পারেন কিনা এসব দেখা হয়।
বিভিন্ন সময় সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট সুপারিশ করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিতে। আদালতের বক্তব্য কারাগার এখন হল সংশোধানাগার। তারা মনে করেন যে আসামিরা শুধরে গিয়েছেন, তাদের আমৃত্যু আটকে রাখা অমানবিক। আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে বিবেচনায় রেখে সব রাজ্য সরকারই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিয়ে থাকে।
বর্তমান সরকার ২০১১-তে ক্ষমতায় আসার পর এপর্যন্ত ৫৭৪জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছে।তাদের মধ্যে ৩৩ জন মহিলা বন্দি।যদিও ২০১১ এর আগে কোন রাজ্য সরকার এই রাজ্যে এতটা মানবিকতার পরিচয় দেন নি।২০১৬ সাল বাদে সব বছরই বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে বর্তমান সরকার। তারমধ্যে এবছরই সবচেয়ে বেশি। ২০১২-তে ১৩১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।