TET exam 2014 : ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

TET exam 2014 : ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার চাকরিপ্রার্থী। তারমধ্যে কয়েক হাজার প্রার্থী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার স্কুলে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু বাকি প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ শংসাপত্র দেওয়া হয়নি।তারা শংসাপত্রের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে কলকাতা হাইকোর্ট এই শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
এবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৪ সালে টেট (টিচার এলজিবিলিটি টেস্ট) TET exam 2014 উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়ার জন্য সোমবার থেকে অনলাইনে তথ্য জমা নিতে শুরু করল। সোমবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই পদ্ধতি শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছে পর্ষদ।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশেই এই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।এই তথ্য আপলোড করতে হবে কীভাবে, সেই গাইডলাইনও নিজস্ব ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছে ( TET exam 2014 ) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ ৩০ মে থেকে পুরো দমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ জুন পর্যন্ত জমা নেওয়া হবে পর্ষদের পোর্টালেই।
তবে যাঁরা ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক ( TET exam 2014 ) হিসেবে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের আর তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে হবে না। আদালতের নির্দেশে এই সার্টিফিকেট প্রদানের প্রক্রিয়া যে শুরু হতে চলেছে, সে বিষয়ে আগেও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে, শংসাপত্র পাওয়ার আবেদনের নির্দিষ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে দুটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই আবেদন করা যাবে শংসাপত্রের জন্য।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ( TET exam 2014 ) সূত্রে জানা গিয়েছে আগে টেট উত্তীর্ণ হলে, তার শংসাপত্রের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই সময় সীমা তুলে দেয়। এরফলে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সুবিধাই হয়েছে। কারণ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আর তাঁদের নতুন করে টেটে বসতে হবে না। তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে টেট উত্তীর্ণরা খুব খুশি।অবশেষে আদালতের নির্দেশে টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের প্রশ্ন, ‘টেট পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই খুব ভাল। কিন্তু রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ আদৌ আছে কী’?সেটা সময় হলেই জানা যাবে নিয়োগ হবে কিনা ।