ফের ফিরছে দুঃসহ সেই স্মৃতি, করােনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই বাড়ির পথে পা বাড়াচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

করােনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে এগােচ্ছে মহারাষ্ট্রে। দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে রাজ্য সরকার গত বছরের মতাে হয়ত লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে। রাজ্য সরকারের এই আশঙ্কাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেক পরিযায়ী শ্রমিক। গত বছর ২৪ মার্চ ২১ দিনের জাতীয় লকডাউন ঘােষণা করার পর রেশন ও অর্থ ছাড়া আটকে পড়া বহু পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের বাড়ি পৌঁছানাের জন্য শত শত কিমি রাস্তা অতিক্রম করেছে। সেই একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্যই শ্রমিকরা আগে থেকে তৎপর হচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর থেকেই একে একে হরে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
দেশে করােনার প্রথম ঢেউ রােখা সম্ভব হয়েছিল প্রাথমিক অবস্থায়। কিন্তু ফের নতুন ট্রেনের দাপট শুরু হয় মাস দেড়েক আগে।দিন কয়েকের মধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে। তারপর থেকে এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করােনা সংক্রমণের তালিকার প্রথম স্থানেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। রবিবার মহারাষ্ট্র সরকারের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করােনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সপ্তাহান্তে শুক্রবার রাত থেকে সােমবার সকাল পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। রাজ্যে সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতেও মানতে হবে কড়া বিধিনিষেধ। পরিস্থিতি না বদলালে সেক্ষেত্রে আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে।আর তাতেই পরিযায়ী শ্রমিকরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
করােনার প্রথম আঘাত সামলে নেওয়ার পর বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে সব শ্রমিকরা কাজের জন্য মহারাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন, সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা ঘরের পথে পা বাড়াচ্ছেন।তাঁরা মূলত রেস্তোরাঁ, কারখানা, নির্মাণ সংস্থায় কাজ করছিলেন। তাঁরা সকলেই একে একে পরিবার নিয়ে নিজেদের ঠিকানায় ফিরছেন।
সাপ্তাহিক লকডাউন ঘােষণার পর কেউ কেউ প্রথম ট্রেনের জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।নাসিকের এক রেস্তোরাঁয় রাঁধুনির কাজ করতেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রোশন কুমার সিং,লকডাউন ঘােষণার পরেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন, সঙ্গে রয়েছেন সেই গ্রামের আরও বেশ কয়েকটি পরিবার।যারা কাজের জন্য নাসিকে অস্থায়ী সংসার পেতেছিলেন। রােশন জানিয়েছেন সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে আগের বারের মত গভীর সমস্যায় পড়তে হবে,তাই আগেই গ্রামে চলে যাচ্ছি পরিবার নিয়ে।