করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় ইমিউন সিস্টেমকে অারো উন্নত করতে, এই সব ঘরোয়া পানীয় খেলেই কেল্লাফতে

দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করে মানুষ ফের গৃহবন্দি। এই পরিস্থিতিতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলেই করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় অনেকটা সক্ষম হওয়া যাবে।এই সময় প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কিছু পানীয়।যা মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে আরও উন্নত করতে পারে। আর এই সব উপাদান সহজেই পাওয়া যায় বাঙালির রান্না ঘরে।তাহলে দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন এই পানিয়–
১)হলুদ চাঃ-
নাম অনুসারে এটি হলুদ, মধু এবং লেবু দিয়ে প্রস্তুত করা হয়।হলুদে কারকিউমিন নামের একটি যৌগ রয়েছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যৌগ শরীরের ব্যথা উপশমেও সহায়তা করতে পারে।এই পানীয় তৈরি করতে ১৫-২০ মিনিট জলে হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে, এর পর স্বাদ মতো লেবু এবং মধু দিয়ে গরম অবস্থায় খেতে হবে
২)মশলা চাঃ-
এই ইমিউনিটি বুস্টারটির উপাদানগুলি সহজেই পাওয়া যায় বাঙালির রান্নাঘরে।যেমন- আদা, দারচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচ, তুলসী পাতা ও মধুর সহযোগে পরিমাণ মত জলে ৩০ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে।এই পানীয়ে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে দ্বিগুণ করে তোলে।
৩)হানি লেমনেডঃ-
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে, চার কাপ জলে কাটা আদা, এক ইঞ্চি সমান দারচিনি, তিনটি রসুনের কোয়া, এক চা চামচ পুদিনার রস এবং লেবুর রস দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন।এর পর মধু দিয়ে গরম অবস্থায় পান করতে হবে।গলা ব্যথা ও কাশির কষ্টে অনেকটা উপশম দেবে এই পানীয়।অতিরিক্ত শ্লেষ্মা জমতে দেবে না গলায়।
৪)কাড়াঃ-
সকলের রান্নাঘরেই সাধারণত এই উপাদানগুলি থাকেই। একটি পাত্রে তুলসী, লবঙ্গ, দারচিনি, আদা, জোয়ান, হলুদ এবং কালো মরিচ দিয়ে জলের মধ্যে সেদ্ধ করতে হয়।পরিমাণ মতো মধু বা গুড় দেওয়া যেতে পারে।এই পানীয় সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে অত্যন্ত উপকারী।
৫)গ্রিন স্মুদিঃ-
এই স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু সবুজ স্যুপটি বিশেষ করে গরমের সময়ে উপযুক্ত খাদ্য।এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। কিছু পালং শাক, আম, আনারস, লেবুর রস, তাজা কাটা আদা লাগবে এই মিশ্রণটি বানাতে। তার সঙ্গে আমন্ড মিল্ক ও দই নিয়ে মিশ্রণটিকে তৈরি করতে হবে। এটি ঠাণ্ডা অবস্থায় খেতে হবে।