জর্জিয়ার গভর্নরকে ফোন করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা ট্রাম্প-এর

নিউজ ডেস্কঃ ভোটে পরাজয় হলেও সেই পরাজয় স্বীকার করতে অনেকটাই সময় নিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।তবে পরাজয় স্বীকার করলেও এখনো মাঝে মাঝেই নিজের প্রভাব বিস্তার করে চলেছে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।এমন অভিযোগ এনে মার্টিন রাজনৈতিক মহলে এখন সরগরম পরিস্থিতি। অভিযোগ উঠেছে শনিবার তিনি জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্পকে ফোন করে সমর্থন নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছেন।এদিকে ট্রাম্পের ফোনের কথা স্বীকার করে নিলেও কি বিষয়ে কথা হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি জর্জিয়ার গভর্নর।হোয়াইট হাউসও এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।তবে ট্রাম্প টুইট করে জর্জিয়ার সচিব ও কেম্পকে আক্রমণ করায় বিষয়টিকে অনেকেই সত্যি বলে ভাবতে শুরু করেছেন।কেম্প ট্রাম্পের কথায় সমর্থন করেননি বলেই তার ঘনিষ্ঠ মহলে খবর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী জর্জিয়ার গভর্নর রিপাবলিকান দলের আর তাকে ফোন করে ট্রাম্প বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি জানিয়েছেন।সূত্রের খবর ঐ অধিবেশনে রাজ্যের জয়ী প্রার্থীরা যাতে নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোটদান করতে পারেন সেই ব্যবস্থাই করতেন ট্রাম্প।গভর্নর বিশেষ অধিবেশনে জয়ী প্রার্থীদের তা করতে বললে সকলে ট্রাম্পকে ভোট দিতেন।এছাড়া ট্রাম্প নির্দেশ জারি করতেন অনুপস্থিত প্রার্থীদের সই যাচাই করে অডিট করার।কিন্তু কেম্পের ঘনিষ্ঠ মহলে খবর অধিবেশন ডাকার পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিয়ে অডিট করাও যে তার এক্তিয়ারে নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কেম্প। কেম্পের মুখপাত্র হল নিশ্চিত করেছেন যে ট্রাম্প ফোন করেছিলেন তবে অধিবেশন বা অডিট নিয়ে তিনি কোনরকম মুখ খোলেননি।আমেরিকার ভোট প্রক্রিয়ার পর দেখা গিয়েছে বাইডেন পেয়েছে ৩০৬ টি ও ট্রাম্প পেয়েছে ২৩২ টি ইলেক্ট্রোরাল ভোট।প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ২৭০ টি ভোট।এদিকে ট্রাম্প মেনে না নিলেও ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের মদনদে বসতে চলেছেন বাইডেন।আর ঠিক এর আগেই বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার প্রক্রিয়া জারি রেখেছে ট্রাম্প।