Electricity Bill – রাজ্যবাসীর জন্য বড়সড়ো বিপদ! বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বড়ো খবর।

Electricity Bill – পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য বড়সড়ো বিপদের আশঙ্কা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মানুষের জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে গেলে অত্যন্ত বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিতে হবে, তা না হলে সাধারন মধ্যবিত্তের অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়বে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী আসন্ন বিপদের সংকেত বার্তা রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আমরা প্রায়শই বাড়িতে বেপরোয়া ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ফ্যান লাইট পাখা ইত্যাদি চালাতে থাকি। হিসাব মেনে বা একটি সঠিক নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে জীবন যাপন অতিবাহিত করি না যে কারণে আমাদের অনেক রকম বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি বৈদ্যুতিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে যার ফলে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের।

সম্প্রতি ২৪১৩ লক্ষ ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি, যে কারণে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও একটি বিবৃতিতে এডিবি জানায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে ও পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা এই ঋণ অনুমোদন করেছেন। রোকা সান্ডার যিনি একজন প্রিন্সিপাল এনার্জি স্পেশালিস্ট তিনি বলেন এডিবির এই প্রকল্প সরকারের বিদ্যুৎ বন্টন উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৈরি হয়েছে। নথি বলছে ২০২২ সালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মূলত পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ (WB Electricity Bill) বন্টনের হাল ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প আনা হয়েছিল।

এডিবি কী?

এডিবি হল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক যারা ইতিমধ্যেই ২৪১৩ লক্ষ ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছেন। যার প্রভাব পড়তে পারে রাজ্য সরকারের উপর, এর ফলে আগামী দিনে কী হতে চলেছে? বিদ্যুতের মাসুল বাড়ার চাপ তৈরি হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের মাশুল বাড়াতে দেননি। এবারে কী হয় সেটি দেখার বিষয়।

এডিবির বার্তা

  • সাতটি জেলায় ৮৯.৬ লক্ষ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বন্টন উন্নত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
  • লো-টেনসন ওভারহেড তারগুলিকে সরিয়ে ফেলা হবে। এমনকি মাথার ওপরে গিঁট বেঁধে রাখা তারগুলিও সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
  • কৃষি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আলাদা বিদ্যুৎ ফিডার তৈরি করা হবে।
  • এছাড়াও জোগানে নজরদারি বিদ্যুতের মান ও বন্টন সংস্থার আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য ও পরিচালনার ব্যবস্থা যথাযথভাবে গ্রহণ করা হবে।

আশা করা যায় ২০২৬ এর মধ্যে বিদ্যুৎ (Electricity Bill) জোগানোর খরচ ও রাজস্ব আয় এর মধ্যে যে ফারাক মেটানোর কথা বলা হয়েছে তার মিটবে। যদিও বিদ্যুৎ কর্তাদের বক্তব্য এই আয়-ব্যয়ের ফারাক হয়েছে মাসুল না বাড়ায়। এই প্রকল্পে বছরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ১৩০ এ নামানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। যদিও দেখা যায় কলকাতা ও জেলা সদরশহর গুলি বাদ দিয়ে সর্বত্রই গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়ে অন্ধকারে ডুবে যায়। তবে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ নষ্ট হয় যার কারণ বিদ্যুৎ চুরি এবং রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতির জন্য। আশা করা যায় এই দিকগুলির দিকে বিশেষ নজর দেবে রাজ্য সরকার।

About Author
Priya Roy

Priya Roy

I'm Priya Roy, a Content Writer at Sakaler Barta News Protal with 3+ years of experience. I am writing basically any type of general news like government scholarship, government projects, economic, etc.
sakalerbarta news logo

Sakaler Barta News is a regional Bengali news portal. Our registration number UDYAM-WB-14-0112482 under SAKALER BARTA Startup Company. We provide information on Latest News of India, and also Our mission is to deliver genuine information related to careers educational and finance, current affairs, and trending News.