১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার।সেখানে পুলিশের লাঠির মারে আহত হন মইদুল ইসলাম মিদ্দা।সােমবার সকালে এক নার্সিংহােমে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩১। নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জে গুরুতর জখম হন বলে অভিযােগ উঠেছিল বাম সংগঠনের তরফে।পুলিসের লাঠির আঘাতে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায় সেদিন। লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মইদুল ইসলাম মিদ্দা আর তার শেষ আর্তনাদ ছিল
আমি আর বাঁচব না।এরপর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন ১৩ তারিখ সকালে জানা যায় কিডনি ফেলিওর হয়েছে। পুলিসের লাঠির আঘাত পেশির উপর পড়ায়, পেশি ফেটে যায়। সেখান থেকে যে প্রােটিন বের হয় তা কিডনিকে ব্লক করে দেয়।প্রথম দিন থেকে তদারকিতে ছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারি সােডিয়াম নেমে গিয়েছে, পটাশিয়াম বেড়ে গিয়েছিল। রবিবার রাত্রে সামান্য ভাল হয়েছিল। কিন্তু ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। কিন্তু ১৫ তারিখ সকালে লড়াই শেষ করেন মইদুল ইসলাম মিদ্দা।
মৃত্যুর খবর পেয়ে DYFI নেতা কলতন দাশগুপ্ত বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগের মতাে ঘটনা। চাকরি চাইতে গিয়ে কলকাতার রাস্তায় খুন হতে হয়েছে প্রশাসনের হাতে।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটা একটা খুন। বাঁকুড়া গ্রামের ছেলে চাকরি চাইতে এসেছিলেন তাকে বুকে-পিঠে-ঘিরে মেরেছে। সরকার তার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে, খুনি সরকার। মানুষের কথা শােনার মতাে কোনও সুযােগই রাখে না এই সরকার।