কৃষি বিলের পর আবার একটি বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়।সাড়ে ছ দশক ধরে চলা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন কে সংশোধন করে গত ১৫সেপ্টেম্বরে লোকসভায় পাশ করাবার পর এবার রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল এই বিল।
চাল,ডাল,আলু,পেয়াজ,তৈলবীজ সহ ভোজ্যতেলের মতো কৃষিপণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হলো এই বিলে। এবার রাষ্ট্রপতির সই হলেই এই বিল আইনে পরিনত হবে। সরকারের লাগামছাড়া হবে এই কৃষিপণ্য, উঠে যাবে মজুতের উর্ধসীমাও।
যদিও সরকারের তরফে দাবি এরফলে বড় বড় দেশী বিদেশি সংস্থা কৃষিপণ্যে বিনিয়োগ করবে। ১৯৫৫ সালে শুরু হওয়া এই ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন’ এর সংশোধন এর দাবি উঠেছিল করোনার সময় যখন ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’প্রকল্প চালু হয়েছিল তখন। কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করেছিল গত ৫জুন।
তবে রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর এখন শুধু রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। এই সইয়ের পরই বিলটি সংশোধিত বিল বলে পুরোপুরি গন্য হবে। এই বিলে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়নি কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে যেমন অস্বাভাবিক অবস্থা অর্থাৎ বন্যা,খরা,ভূমিকম্প, দূর্ভিক্ষ,যুদ্ধ,মূল্যবৃদ্ধি এই সমস্ত ক্ষেত্রে সরকার মজুদ, বিক্রি ও অন্যান্য বিষয়ের উপর নজরদারি চালাতে পারবে।
সরকার পক্ষের তরফে বলা হয়েছে ১৯৫৫ সালে খাদ্য সংকটের দরুন খাদ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত,সময় বদলেছে এখন ভারত নিজের খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা নিজ দেশের উৎপাদিত পণ্যের থেকে মিটিয়ে থাকে। মরশুমী সময়ে উদ্বৃত্ত থাকার কারণে কৃষক বন্ধুদের অনেকের লোকসান হয়। এবার এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এই আইন সংশোধনের ফলে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য গনবন্টন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দানভে রাওসাহেব দাদারাও বলেন,”এই আইনের ফলে কৃষকেরা উৎপাদন, বন্টন, পরিবহন,মজুত,বিক্রি সমস্ত ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা পাবেন। এছাড়াও খুলে যাবে সমস্ত বিনিয়োগের পথ।”মজুদের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার ফলে যত খুশি মজুদ করা যাবে ফসল। আর চাষী ভাইদের ফসল নষ্ট বা কম দামে বিক্রি করার ভয় থাকবেনা। এছাড়াও তিনি বলেছেন,”এই আইন পাশ হলে উপভোক্তা ও চাষীভাই দুপক্ষের সুবিধা হবে।”