কোরোনা প্রকোপ অব্যাহত। এমত অবস্থায় পুজোর প্রস্তুতি পর্বে কিছুদিন আগেই মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন পুজোয় কোনরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। আর তাতে শিল্পীমহলের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করে রুটি রুজির প্রশ্ন তুলে আর্জি করেন।
আর ঠিক এর পর পরই মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী বলেন কোভিড বিধি মেনে করা যাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অথচ সোমবার এই মতামত পুরোপুরি বদলে নবান্নের তরফে এক নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো নয়ই পাশাপাশি করা যাবেনা কোন কার্নিভালও।
নির্দেশিকায় কি কি থাকছে-
১)তৃতীয়া থেকে একাদশী প্রতিমা দর্শনের দিনগুলো পর্যন্ত রেড রোডে করা যাবেনা কোন পুজো কার্নিভাল।
২)বিসর্জনের আগে ঘাটগুলিকে স্যানিটাইজ করতে হবে। এলাকা ভিত্তিতে বিশেষ বিশেষ দিনে বিসর্জন হবে।উদ্বোধন বা বিসর্জন কোনটিতেই বেশী ভীড় করা যাবেনা।
৩)পুরস্কারদান কমিটি একইসঙ্গে অনেক গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেননা।বড়জোর দুটি গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন।সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে।
৪)অঞ্জলী হোক বা প্রসাদ বিতরন সমস্তই করতে হবে খোলামেলা জায়গায়।
৫)পৌরসভা,পঞ্চায়েত বা দমকল বাহিনী কোন ফি নেবেনা।বিদ্যূৎ বিলে থাকছে ৫০%ছাড়।অনলাইনেও পুজোর অনুমতি পাওয়া যাবে।
৬)পুজো প্যান্ডেল এর ভিতরে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করতে হবে এর পাশাপাশি খোলামেলা করতে হবে পুজো প্যান্ডেল।
৭)প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ আলাদা আলাদা করতে হবে।
৮)প্যান্ডেলে প্রবেশকারী দর্শনার্থীদের মাস্ক পরতেই হবে।
৯)শারিরীক দুরত্ব যাতে প্যান্ডেলের ভিতর বজায় থাকে সেটা খেয়াল রাখা,মাস্ক, স্যানিটাইজার দেওয়ার জন্য বেশী করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।
১০)স্বেচ্ছাসেবকদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হেডশিল্ড অবশ্যই ব্যাবহার করতে হবে।