শরীরের কোন ব্যাথা কি রোগের লক্ষণ?জেনে নিন।

আমাদের শরীরে ব্যাথা বেদনার শেষ নেই।আজ মাথাব্যাথা তো কাল কোমরে ব্যাথা।এই ব্যাথার কারন আমরা অনেকেই জানিনা।আর না জানার কারনে অনেক সময় আমরা ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই ব্যাথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলি।এরফলে কখনও ব্যাথা তো দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমেনা উল্টে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়।ছোটখাটো ব্যাথাই যে বড়সড় রোগের লক্ষণ তা জানবো আজ।
মাথাব্যথা:
মাথাব্যথা সবারই হয়।তবে কিছুদিন ধরে যদি দেখেন মাথাব্যথা তীব্র আকার ধারণ করেছে তবে আর দেরি নয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।এই ব্যাথা ব্রেইন অ্যানুরিজমের ব্যাথাও হতে পারে।এটি এমন একটি রোগ যা তীব্র হলে ব্লাড ভেসেল ভেঙে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হতে পারে।
দাতব্যাথা:
ঠান্ডা কিছু খেলেই অনেক সময় দাঁতের মধ্যে ব্যাথা বা শিরশিরানি অনুভূত হয়।এরকম হলে বুঝবেন দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়েছে তাই বসে না থেকে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বুকে ব্যাথা:
বুকে ব্যাথা মানে আপনি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে।হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ বুকে ব্যাথা।বুকে অক্সিজেন পৌঁছোতে সমস্যা হলে ব্যাথার সৃষ্টি হয়।বুকের ব্যাথা মুখের চাপা,কাঁধ ও গলা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে তাই সতর্ক হন।
হাতের যে কোন ব্যাথা:
হাতের তালুতে,কব্জিতে,আঙ্গুলে বা অবশ হওয়ার অনুভূতি বুঝতে পারলে আপনি সতর্ক হয়ে যান।কারন এই ব্যাথা কার্পেল টানেল সিনড্রোমের লক্ষণ।এই রোগ হলে হাতের পেশি শুকিয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাত অবশ হয়ে যেতে পারে।এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়ে টানা ব্যাথা:
উঠতে বসতে পায়ে খিল ধরলে আমরা সেটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেইনা।কিন্তু তার সঙ্গে যদি প্রদাহ বা ফোলার সমস্যা থাকে,তবে শরীরে ক্ষতিকর রক্তপিন্ড থাকতে পারে।যারফলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিরদাঁড়া ব্যাথা:
আপনার শিঁড়দারার নিচে যদি ডানদিকে ব্যাথা হয়,সঙ্গে বমি,জ্বর, সর্দিভাব হলে বুঝবেন আপনার অ্যাপেনডিক্সের সমস্যা রয়েছে।অ্যাপেনডিক্স ফেটে করুন অবস্থা হবার আগেই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পিঠে ব্যাথা:
আমাদের পিঠে প্রায়ই ব্যাথা হয়।এরসাথে অনেক সময় জ্বর ও সর্দির উপসর্গ থাকলে এটি কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ। সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে আপনার কিডনিতে রক্তক্ষরনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোমর থেকে পায়ে ব্যাথা:
বয়স্ক ব্যাক্তিদের কোমর থেকে পায়ে ব্যাথা ছড়িয়ে পরতে পারে।এই রোগের নাম স্কিয়াটিকা।স্কিয়াটিক টিস্যুতে চাপ পরলে এই সমস্যা হয়।তবে এর সাথে প্রস্রাবের সমস্যা হলে কডাইকুইনা সিনড্রোম রোগের লক্ষণ।এরফলে হতে পারে প্যারালাইসিসের মতো রোগের সমস্যাও।