PM Kisan yojana – কৃষকরা হলেন দেশের অন্নদাতা। তাদের উন্নয়ন মানে কৃষিকাজের উন্নতি। এই কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত অনেক ধরনের আর্থিক প্রকল্প চালু করেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা, যার আওতায় প্রতিবছর ₹৬,০০০ করে দেওয়া হয় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই ১৮টি কিস্তির টাকা বিতরণ করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে শেষ কিস্তি দেওয়া হয়েছিল এবছরের জুলাই মাসে। এবার ১৯তম কিস্তির পালা। কবে ঢুকবে সেই টাকা এবং কারা এই সুবিধা পাবেন, তা নিয়ে একবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পিএম কিষান প্রকল্পের (PM Kisan yojana) টাকা কিভাবে দেওয়া হয়?
২০১৯ সালে চালু হওয়া পিএম কিষান যোজনার উদ্দেশ্য হল দেশের ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। প্রকল্পের আওতায় প্রতি কৃষক পরিবার বছরে ₹৬,০০০ পান, যা তিনটি সমান কিস্তিতে (₹২,০০০ করে) তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়, যা নিশ্চিত করে যে কোনো মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই সুবিধাভোগীরা তাদের প্রাপ্য পাচ্ছেন।
পিএম কিষান যোজনার ১৯তম কিস্তির আপডেট
গত ৫ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে ১৮তম কিস্তির টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। এখন সবাই অপেক্ষা করছেন ১৯তম কিস্তির জন্য। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ১৯তম কিস্তির (pm kisan yojana 19th installment) টাকা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
PM Kisan yojana সুবিধা পেতে কী করতে হবে?
যেসব কৃষকেরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান, তাদের আগে প্রকল্পের ওয়েবসাইটে (pmkisan.gov.in) গিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং মোবাইল নম্বর। একবার নথিভুক্ত হলে, সুবিধাভোগীরা সহজেই তাদের স্টেটাস চেক করতে পারবেন।
কিভাবে PM Kisan status চেক করবেন?
- প্রথমে ওয়েবসাইটে যান: pmkisan.gov.in।
- হোমপেজে বেনিফিশিয়ারি স্টেটাস বেছে নিন।
- আধার নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মোবাইল নম্বর প্রবেশ করান।
- তথ্য জমা দেওয়ার পর কিস্তির স্টেটাস দেখতে পাবেন।
কারা এই সুবিধা পাবেন?
এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধা পেতে হলে কৃষকদের নাম অবশ্যই সরকারি ডাটাবেসে নথিভুক্ত থাকতে হবে। তবে মনে রাখা দরকার, কৃষকদের মধ্যে যারা আয়করদাতা, সরকারি চাকরিজীবী, বা বড় জমির মালিক, তারা এই প্রকল্পের আওতায় পড়েন না। প্রকল্পটি মূলত ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকদের লক্ষ্য করে তৈরি।