Primary TET – দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যাদের নাম উঠে এসেছে তারা এতোদিন ধরর মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন, তবে এবার যেন সব নদী গিয়ে সমুদ্রে মিশেছে।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট নজিরবিহীন রায় দিয়েছে। এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary TET) চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ঘটনা গোটা রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে যে ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত,তাই সবাই অযোগ্য।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা (Primary TET) নিয়েছিল। এই পরিক্ষায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী পাশ করেন। এরপর ইন্টারভিউ নিয়ে ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়। ২০১৬ সালের পর থেকে প্রায় ৬ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে এই নিয়োগ নিয়ে মামলা করা হয়।অভিযোগ করা হয়েছে এই নিয়োগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাস্টিটিউট টেস্ট না নিয়েই নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – সবার আগে মাধ্যমিক রেজাল্ট পেতে, আজই এই ৪ টি অ্যাপ মোবাইলে ইন্সটল করুন। Madhyamik Result 2023.
এমনকি প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সব অভিযোগ শুনে নড়েচড়ে বসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলা চলাকালীন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক দুর্নীতি সামনে এসেছে। ওএমআর শিটে প্ৰাপ্ত নম্বর মেধাতালিকায় বেমালুম বদলে গিয়েছে। এমনকি শূন্য পাওয়া চাকরি প্রার্থীও নিয়োগপত্র পেয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই এই মামলা (Primary TET Scam) চলছে। অবশেষে প্রায় ৮ মাস পরই নজিরবিহীন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬,০০০ প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। আর
বাকি ৬,২৫০ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি থাকবে। তবে এখনই ওই ৩৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি যাবে না, আগামী চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। এই চার মাস তারা প্যারা টিচার হিসাবে বেতন পাবেন। এছাড়াও তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই ৩৬,০০০ অপ্রশিক্ষিত সকল শিক্ষকের চাকরি (Primary TET) বাতিল নাও হতে পারে। কারও কারও চাকরি বেঁচেও যেতে পারে।কারন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন যে সব অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউয়ে বসতে পারবেন। অর্থাৎ খুব শীঘ্রই নতুন করে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।