Laxmi Bhandar Apply – রাজ্যের জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হলো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। মহিলাদের স্বনির্ভর করতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ মহিলাদের একটি লক্ষ্মীর ঝাঁপি তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন যাতে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন। মহিলাদের হাত শক্ত করার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পের সূচনা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই প্রকল্পটি শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সময়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে এই এই প্রকল্পে আবেদন করা যায়। আসুন জেনে নিই এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
Laxmi Bhandar Apply 2024-25 Online
লক্ষ্মী ভান্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্প আবেদন করতে পারবেন ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা। এই প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও আবেদনের জন্য আবেদনকারীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা প্রয়োজন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনের ফর্মটি (Laxmi Bhandar from) পাওয়া যায়। সঠিক তথ্য দিয়ে ও প্রয়োজনীয় নথি গুলি সংযুক্ত করে সেগুলি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা করতে হয়। পরে সেগুলি যাচাই করে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়।
Laxmi Bhandar- প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের (Laxmi Bhandar Scheme) আবেদন পত্রের সাথে প্রয়োজনীয় যে সমস্ত নথি গুলি জমা দিতে হয় সেগুলি হল- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স, আধার কার্ডের জেরক্স, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স কপি, তপশিলি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা হয়ে থাকলে তাদের কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবিও জমা দিতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীকে একটি লিখিত ঘোষণা পত্র দিতে হবে যাতে লেখা থাকবে তিনি পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা, কোন সরকারি সংস্থা কিংবা চাকরি থেকে কোন বেতন পান না বা পেনশন পান না। উক্ত নথিপত্র গুলি সহ সমস্ত তথ্য যে সঠিক সেটিও উল্লেখ করতে হবে।
এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা পান মাসিক হাজার টাকা করে এবং তপশিলি জাতি কিংবা উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা পান মাসিক বারোশো টাকা করে। রাজ্যের সমস্ত মহিলারা মাসিক এই ভাতা পেয়ে যথেষ্ট খুশি। তাঁরা তাদের নিজের ইচ্ছামত নিজেদের প্রয়োজনটুকু মেটাতে পারেন, এর জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা যথেষ্টই কৃতজ্ঞ। সমস্ত রাজ্যবাসী জন্য আগামী দিন তিনি এভাবেই পাশে থাকবেন বলেই সকলে মনে করেন।