রাজ্যের মহিলাদের এই নতুন প্রকল্প কি?
মেয়েদের স্বাবলম্বী করতে এবার আরও একধাপ এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকার এক নতুন প্রকল্প চালু করলেন। এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র রাজ্যের মহিলাদের জন্যই চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলাই রাজ্য সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।
গ্রামীণ সমস্ত বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলারা যারা কোনো চাকরি বা কাজের সঙ্গে যুক্ত নন, তারা সরকারের এই নতুন উদ্যোগে শামিল হতে পারেন।
বর্তমানে প্রযুক্তি এগিয়ে গেলেও মানুষের কাছে মেয়েদের বাইরে কাজ করাটা অনেকেই মেনে নিতে পারে না।
যার কারনে মেয়েদের ঘরে বসে সময় কাঁটাতে হয়, হাজার শিক্ষা গ্রহন করেও তাদের বাড়ি থেকে বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। শিক্ষিত হয়েও অর্থ উপার্জনে অক্ষম হয়ে মেয়েদের ঘরে বসে থাকতে হয়। জীবনে চলাফেরা করার জন্য একজন মেয়ের টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়। তাই মেয়েরা যদি নিজে রোজগার করে তাহলে পুরুষের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না।
মেয়েরা ঘরের কাজ শেষ করার পরেও অনেকটা সময় হাতে থাকে। সেই সময়টা কাজে লাগিয়ে তারা যদি বাড়তি কিছু ইনকাম করে, তাহলে পরিবারের সচ্ছলতা যেমন বাড়বে তেমনি সমাজেও তাদের মর্যাদা বাড়বে। তাই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও স্বাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের বিনামুল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
শুধু প্রশিক্ষণই নয় তার সঙ্গে আয়ের সুযোগও থাকছে। অর্থাৎ প্রশিক্ষণ শেষে ওই প্রশিক্ষিত মহিলাকে মজুরির বিনিময়ে কাজের সুযোগ করে দেবে সরকার। সরকারি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেশম খাদি এবং পল্লী শিল্প সমিতির উদ্যোগে রাজ্যের গ্রামীণ বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণরত মহিলাকে মজুরি বাবদ টাকাও দেওয়া হবে। সরকারি তরফে লাচ্ছি পিছু ৯ টাকা ৩০ পয়সা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষিত মহিলারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অধীনে একাধিক কর্ম সংস্থানের সুযোগ পাবেন। এই প্রকল্পে আবেদন করবেন কিভাবে জেনে নেওয়া যাক তাহলে-
এই প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি:-
১) মহিলাকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড থাকতে হবে।
৩) মহিলাকে সম্পূর্ণ বেকার হতে হবে।
৪)পারিবারিক আয় যথেষ্ট কম থাকতে হবে।
৫) স্থানীয় পঞ্চায়েত অথবা ব্লক অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৬)আবেদনপত্র প্রাথমিক বাছাইয়ের পর আবেদনকারী মহিলাকে প্রশিক্ষণের জন্য ডেকে নেওয়া হবে।আপনিও যদি নিজে রোজগার করতে চান তাহলে আর দেরি না করে এখনই আপনার নিকটবর্তী স্থানীয় পঞ্চায়েত অথবা ব্লক অফিসে
যোগাযোগ করুন। আর ঘরে বসে সহজেই আয়ের পথ খুঁজে নিন। এই সম্পর্কিত আরও খবর পেতে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Lakshmir Bhandar – লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে নয়া ঘোষনা! নবান্ন কি নয়া নির্দেশ দিল জানুন